পেকুয়ায় পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে আবারোও গৃহবধূ খুন: থানায় মামলা
পেকুয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা:
পেকুয়ায় পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূ খুন হয়েছে। জানা যায় গতকাল টইটং ইউনিয়নের মিয়াজি ঘোনা(আবদুল¬াপাড়া) এলাকার নুরুচ্ছফার পুত্র রবি আলমের স্ত্রী হামিদা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূ কে স্বামী ও শাশুরবাড়ী লোকজন পিঠিয়ে খুন করে।
প্রত্যক্ষদূর্শীরা জানান গত ১৬ মাস আগে নুরুচ্ছফার পুত্র রবি আলমের সাথে একই ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে হামিদা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী কর্তৃক যৌতুকের জন্য তার উপর নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। তাদের কূলে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। তার পরও যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। ১৪ আগষ্ট মেয়ের পিতার কাছে ফোন করে চার হাজার টাকা দাবী করেন পাষন্ড স্বামী। ঐ টাকা না দিলে তার মেয়েকে নির্যাতন করবে বলে জানান। উক্ত যৌতুকের দাবীকৃত টাকা মেটাতে না পারায় গতকাল স্বামী নিজ স্ত্রীকে ঘরের একটি কক্ষে বন্ধী করে স্বামী ও তার শাশুরবাড়ীর লোকজন পিঠিয়ে হত্যা করে। পরে ঐ পাষন্ড স্বামী গৃহবধূ হামিদা বেগম কে পিঠিয়ে খুন করার পর স্বামী নিজ বসতঘরের একটি কক্ষে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে গৃহবধূর পিতা ও আত্মীয় স্বজন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান জেট এম মোসলেম উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ কে খবর দেয়।
পেকুয়া এস আই শফিকুর রহমান ভূইয়া গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় সূত্রে জানায় লাশের গলায় এবং গায়ে ও পিঠে মারধর করার চিহ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে পেকুয়া থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে গৃহবধূর পিতা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে স্বামী রবিউল আলম, নুরুচ্ছাফার স্ত্রী বুড়ি বেগম, মেয়ে রুবি আক্তার, বেবী আক্তার সহ ৫/৬ অজ্ঞাত দেখিয়ে থানায় মামলা রেকড় করছে যার নং ১২/১৭.৮.২০১৩। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন জানান গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে গৃহবধূর পিতা একটি হত্যা মামলা দায়ের করছে যা ময়না তদন্ত রির্পোট ফেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।