১২টি বন্দুক ও ২৩টি গুলি উদ্ধার, এএসপিসহ আহত-৫

পেকুয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোহাম্মদ আলম (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত আলম ডাকাত ছিলেন। এ সময় ডাকাতের ছোঁড়া গুলিতে একজন সহকারি পুলিশ সুপারসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।

আহত লোকজন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মোহাম্মদ আলম উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়ার আবুল হোসেনের পুত্র।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টৈটং ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা গুদিকাটায় ডাকাতের দুই দল সদস্যের মধ্যে বড় ধরনের অস্ত্রের চালান কেনাবেচা হবে এমন খবরে চকরিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গোলাগুলি শুরু করে। এ সময় পুলিশও গুলি ছোঁড়ে। ‘গোলাগুলির’ একপর্যায়ে ডাকাতের অন্য সদস্যরা অস্ত্র, গুলিসহ আহত অবস্থায় আলমকে ফেলে পাহাড়ে ঢুকে পড়ে।

এ সময় সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলামসহ পুলিশের পাঁচজন সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি ১২টি বন্দুক ও ২৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়। আলমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন আইনে সাতটি মামলা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জরুরী বিভাগে ভর্তি হয়ে চকরিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম, পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) মেজবাহ উদ্দিন, মো. ইব্রাহিম ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির দাগ আছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম সকাল সাড়ে ৯ টায় এ প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, দ্রুত আহত পুলিশ সদস্য ও ডাকাতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাকাত আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করবে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বন্দুকযুদ্ধে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন