parbattanews

পেকুয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

কক্সবাজারের পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হেনেস্তা করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী জারিয়া জন্নাত রিথি উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার জাকের আলমের মেয়ে ও নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। এই ঘটনায় জারিয়া জন্নাত রিথি বাদী হয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানায়,সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় টিফিন করার জন্য বাহির হয়ে পুনরায় স্কুলে ডুকে পড়ে রিথি। অর্ধদিবসের একটি ক্লাস শেষ হলে পরবর্তী ক্লাসে প্রধান শিক্ষক জাহির উদ্দীন ২য় তলার ক্লাস রুমে ঢুকে রিথিকে মারধর করে কান ধরে টেনে হিছড়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে অফিস কক্ষে নিয়ে সবার সামনে মারধর করে হেনেস্তা করে। এর পর ধাক্কা দিয়ে গেইট পর্যন্ত তাড়িয়ে দেয়। তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক মারধর করার সময় বলে এমনেও আমার চাকুরির মেয়াদ শেষ বলতে থাকে এবং থানায় যেতে বলে।

এদিকে আহত ছাত্রী রিথি বলেন, আমরা টিফিন আনতে বাহিরে গেলে আমার এক বান্ধবী তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলে, সেটা আমিন স্যার দেখে ফেলে। এটি জহির স্যারকে এসে বলে। কিন্ত যে কথা বলছে সে প্রভাবশালীর বোন হওয়ায় তাকে কিছু করেনি স্যার। উল্টো আমাকে এসে সে এক ছেলের সাথে কথা বলছে সেটা বলি নাই কেন বলে মারধর করছে। পরে আমার বাবার ফোন নং খুজে জহির স্যার। তখন আমি আম্মুর ফোন নং দিই এটি বন্ধ পাওয়ায় আবার আব্বুর ফোন নং খুজলে আমি দিতে নারাজ বলে আমাকে মারধর করে।

এদিকে আহত ছাত্রীর বাবা জাকের আলম বলেন, আমার মেয়েকে অন্যায়ভাবে প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন মারধর করছে, আমি তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। যে মেয়ে অপরাধ করছে সে প্রভাবশালীর বোন বলে ভয়ে তাকে মারধর করেনি। অপরাধ করলে সে করছে আমার মেয়ে তো করেনি। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদেরকে শাসন করে, এভাবে নয়। জাহেলিযুগীয় কায়দায় মারধর করে নয়। আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে গিয়েছিলাম সে আরো উত্তোজিত হয়ে যায়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্কুলে এসে কথা বলার জন্য বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পেকুয়া সরকারি মডেল জি এম সি ইনস্টিটিউটশন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পূর্বিতা চাকমা অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় পক্ষকে আমার অফিসে ডেকেছি, তখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Exit mobile version