parbattanews

পেকুয়ায় বিশেষ ক্লাসের নামে ভিন্ন পন্থায় রমরমা কোচিং বানিজ্য!

কক্সবাজারের পেকুয়া মডেল সরকারি জি এম সি ইনস্টিটিউশনে বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং বাধ্যতামূলক করে ইচ্ছে মত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকসহ এক শিক্ষক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

কোচিং বন্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট বিধিমালা থাকলেও তা মানতে নারাজ কিছু অসাধু শিক্ষকরা। কোচিং বানিজ্যকে বৈধ করতে নাম দিয়েছে বিশেষ ক্লাস। কেউ বিশেষ ক্লাস করতে না চাইলেও তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি বা ধমক দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ ক্লাস না করলে তাকে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে দেবে না এমন অভিযোগ। এই ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পেকুয়া মডেল সরকারি জি এম সি ইনস্টিটিউশনে নবম-দশম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং করতে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। নবম-দশম শ্রেণির ফি জন প্রতি ৬০০ টাকা। নবম -দশম শ্রেণির মোট ৮০০ জন শিক্ষার্থী ও অষ্টম শ্রেণির প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী বিশেষ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে তাদের ফি জন প্রতি ৫০০ টাকা। তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে প্রধান শিক্ষক ও তাদের সিন্ডিকেট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, প্রতিমাসে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ওখান থেকে কিছু টাকা কর্মকর্তার পকেটে যায়, বাকি টাকা প্রধান শিক্ষক ও তার সিন্ডিকেটের লোকেরা ভাগবাটোয়ারা করে খায়।

শিক্ষার্থীরা বলেছেন, কেউ বিশেষ ক্লাসের টাকা দিতে না চাইলে তাকে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে।

এ বিষয়ে পেকুয়া মডেল সরকারি জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দীন বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে করতেছি। যারা অভিযোগ করতেছে তাদেরকে আমার কাছে পাঠাও তাদের কাছ থেকে টাকা নিব না।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীন বলেন, বিশেষ ক্লাসের কোন নিয়ম নাই। যদি বিশেষ ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের টাকা আদায় করা হয় তা অবশ্যই অনৈতিক। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version