parbattanews

পেকুয়ায় বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি পরও মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হয়েও মিথ্যা মামলা জড়িয়ে হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন ছেলের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকার টেকপাড়া গ্রামে। জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে স্থানীয় প্রেমিক প্রেমিকার দুই পরিবারের মধ্যে চলছে নানা শর্তের বাকবিতন্ডা। এ ঘটনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে। যা নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিকবার শালিসী বৈঠকও হয়েছে। এরপরও পাত্রী পক্ষকে রাজী করে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি শালিষকাররা।

গত কয়েক মাস পূর্বে গোঁয়াখালী এলাকার টেকপাড়া গ্রামের আকতার হোসেনের মেয়ে শারমিন আকতার ও একই এলাকার নুরুল হকের পুত্র মফিজুর রহমানের মধ্যে গড়ে উঠে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। দু’জনই আবার নিকটতম প্রতিবেশী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রেমিকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে প্রেমিকা শারমিন। প্রেমিকার বিয়ের প্রস্তাবে অপরাগতা স্বীকার করেন পাত্র মফিজ ও তার পরিবার। অপর দিকে প্রেমিকা শারমিনের সাথে পিতা-মধ্যে দেখা দেয় মান-অভিমান। এক পর্যায়ে প্রেমিকা শারমিন গত ১১মার্চ স্বেচ্ছায় বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে প্রেমিক মফিজের পিতা নুরুল হক জানান, বিষপানের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে শারমিনের পরিবার যৌন হররানী ও অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তার ছেলে মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের অবহিত করে নালিষ জানায়।

এনিয়ে ছেলে ও মেয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় শালিষী বৈঠক করেন স্থানীয়রা। পরে, বিয়ের প্রস্তাবে আমরা উভয় পক্ষ রাজী হই। এ ছাড়া গত ১৭এপ্রিল বিয়ে উপলক্ষে উভয়ের সম্মতিক্রমে লেনদেন বিষয়ে লিখিত একটি বিয়ের খসড়া ফর্দ্দনামাও সম্পাদন করা হয়।

গত ১১ই মে বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু কু-চক্রী মহলের ইন্দনে সব বিষয় অস্বীকার করে মেয়ের পরিবারের লোকজন আশ্রয় নেয় আদালতে। অবশেষে দুই মাস পর অর্থাৎ বিয়ের আগের দিন গত ১০মে শারমিন আকতার বাদী হয়ে প্রেমিক পাত্র মফিজুর রহমান ও তার মাতা-পিতার নামোল্লেখ করে ৩জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবূন্যাল কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬২৯/১৬ইং। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে পেকুয়া থানা ওসি বরাবরে প্রেরণ করেন। এদিকে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার সাজানো মিথ্যা মামলার হয়রানী গ্রেপ্তার থেকে রেহাই পেতে ঘটনার সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু সু’দৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Exit mobile version