parbattanews

পেকুয়ায় বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তোলপাড়

এ.এম.জুবাইদ,পেকুয়া:
পেকুয়ায় বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তোলপাড় চলছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অভিবাবক মহলে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অভিবাবকদের সাথে বৃত্তির আয়োজকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। জানাযায়, গতকাল ৮ নভেম্বর পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে টিচার্স এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিবাবক সূত্রে জানাযায়, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী চকরিয়া টিচার্স কেয়ার এসোসিয়েশন (সি.টি.সি.এ) বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সকাল ১০ টায় বৃত্তি পরীক্ষা শুরু থেকেই কয়েকজন অভিবাবক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে গিয়ে অভিযোগ করেন, আজকের বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে। এতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির কেউ কর্ণপাত না করলে কয়েকজন অভিবাবক প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি নমূমা কেন্দ্র সচিব ও পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেমের কাছে জমা দিলে অভিবাবকদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সামনের বছর থেকে তার স্কুলে টিচার এসোসিয়েশনের বৃত্তির জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ দেবেননা বলে জানান।

পরীক্ষা শেষ হবার পরপরই অভিভাবকরা বৃত্তির আয়োজকদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা তা অস্বীকার করলে এক পর্যায়ে অভিবাবকদের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে অভিবাবক শিক্ষার্থীদের মাঝে ছুটাছুটি পড়ে যায়।

বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া পেকুয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র মোশফিক আলী সাজিদের অভিবাবক শামীম ও নাজমুস সাকিব রাফির অভিবাবক নাছির উদ্দিন জানান, বৃত্তি পরীক্ষার সচিবের সাথে পেকুয়া স্মার্ট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ব্যবসায়ীক সম্পর্কের কারণে তার স্কুলের পাশের হার বৃদ্ধি করার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে। তারা জানান, গতরাত থেকেই ওই স্কুলের শিক্ষকরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে প্রশ্নগুলো দিয়ে আসেন। স্মার্ট স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, টিচাররা সাজেসন হিসেবে যেটি সরবরাহ করেছেন পরীক্ষার হলে প্রশ্নাকারে সেটিই পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে ওই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন প্রকার মন্তব্য করতে অনিহা প্রকাশ করেন। পেকুয়া পাইলট স্কুলের শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত জানান, আমরা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে প্রতিযোগিতার জন্য তৈরী করেছি, কিন্তু বৃত্তি পরীক্ষা দিতে এসে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় হতাশ হয়ে গেলাম।

এ ব্যাপারে সি.টি.সি.এ বৃত্তি পরীক্ষার প্রধান কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মাহফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি ছিল। অভিবাবকরা অভিাযোগ তুলার পর তাদেরকে যথাউপযুক্ত প্রমাণ দিতে বললে তারা তা দিতে পারেননি। এদিকে বৃত্তি পরীক্ষার বৃত্তি সচিব বদিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই, কারণ কঠোরভাবে আমাদের প্রশ্নপত্র নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
 

Exit mobile version