parbattanews

পেকুয়ায় বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বোরো মৌসুমের ধান চারা রোপন শুরু হয়েছে। কৃষকরা এখন জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাতামুহুরী নদীর উপর বাঘগুজারা রাবার ড্যাম ও ভোলাখালের উপর গোঁয়াখালী রাবার ড্যাম ফুলানো হয়েছে। পাশাপাশি টৈটং খালের উপর অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ২১ হাজার কৃষক সুফল পাবে। এবারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৪০ হেক্টর।

সরেজমিনে দেখা য়ায়, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার কৃষক মিয়া তার নিজের ৫ একর জমি চাষ দিয়ে চারা রোপণের উপযোগী করেছেন। শ্রমিক দিয়ে চারা রোপনের কাজ চলছে। কৃষকরা শ্যালো মেশিন দিয়ে মিঠাপানি তুলে অবাধে চাষাবাদ করছে। এবারে মিঠাপানির প্রবাহ বেশী।

গত কয়েকদিন দিন ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে এক সংখ্যার ঘরে। রাতে বৃষ্টির মতই ঝরছে কুয়াশা। দিনেরও বেশির ভাগ সময় চারপাশ ঢাকা থাকছে কুয়াশার চাদরে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

চলতি বছরের শুরু থেকে জেলা জুড়ে কখনো মৃদু কখনো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র ঠাণ্ডার প্রকোপ উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। কাজে বের হলেও ঠাণ্ডায় কাজ করা খুবই কষ্টকর বলে জানিয়েছেন তাদের অনেকেই।

আব্দু রশিদ বলেন, ডিপটিউবওয়েল এর পানি দিয়ে চাষাবাদ চলছে। প্রতি কানি (৪০ শতক) জমিতে পানি বাবদ আড়াই হাজার টাকা করে খরচ দিতে হচ্ছে। বিআর ৩৯ জাত রোপণ করেছি। আশাকরি এবার আশানুরুপ ধান উৎপাদন হবে। পানি নিয়ে কৃষকের কোন চিন্তা নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, ৭ ইউনিয়নের ২১ হাজার কৃষক একটি স্থায়ী রাবার ড্যাম ও একটি অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে চাষাবাদ করছে। পেকুয়ার সীমান্তবর্তী বাঘগুজারা র‌্যাবার ড্যামের সুফলও পেকুয়ার কিছু কৃষক ভোগ করে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্র অর্জন সম্ভব হবে।

Exit mobile version