পেকুয়ায় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং বাজারের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসাইনকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্তৃক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর মা মালেকা বেগম। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পেকুয়া চৌমুহনীর হেল্পিং পয়েন্ট কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যবসায়ী আমজাদ হোসাইনের মা মলেকা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে টৈটং বাজারে ব্যবসা করে আসছেন। একটি ষড়যন্ত্রকারী মহলের ইন্ধনে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন আমার ছেলে আমজাদ। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার ছেলের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে প্রশাসনকে বারবারই মিথ্যা তথ্য দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি টৈটং বাজারে আমার ছেলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্তৃক অভিযান চালিয়ে ৪৫টি মোবাইলসহ আমজাদকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। মূলত যেসব মোবাইল দোকান থেকে জব্দ করেছে সেখানে কোনো চোরাই মোবাইল নেই। চোরাই মোবাইল বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট ও পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। আমার ছেলে ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। তারপরও বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে।

মালেকা বেগম লিখিত বক্তব্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, যেসব মোবাইল চোরাই বলে দোকান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে একটি মোবাইলও যদি চোরাই মোবাইল থাকে আমি নাকে খত দিবো। এছাড়াও জব্দ করা মোবাইলগুলোর একটিরও আইএমইআই পরিবর্তন হয়ে থাকলে প্রশাসন যে শাস্তি দিবে মেনে নেবো। এজন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আকুল আবেদন, আপনারা চোরাই মোবাইল আছে কিনা কিংবা আইএমইআই পরিবর্তন করা কোনো মোবাইল আছে কিনা যাচাই-বাছাই করুন। এমন যদি না হয় আমার ছেলেকে সসম্মানে আমার বুকে ফিরিয়ে দিন।

মালেকা বেগম বলেন, গত ১০ বছরে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমার ছেলের দোকান থেকে একটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার বা জব্দ করতে পারেনি। স্থানীয় প্রশাসন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনেকে আমার ছেলের দোকানের মোবাইল ব্যবহার করেন। এজন্য কোনো দিন কাউকে কোনো বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়নি। এছাড়া আমার ছেলের কাছ থেকে গুটিকয়েক চাঁদাবাজ বাকিতে মোবাইল কেনেন। পরে পাওনা টাকা চাইলে ডিবি পুলিশের হুমকি দেন। তাঁরাই মূলত ডিবি পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়ে অভিযান পরিচালনা করিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে চকরিয়া পৌরশহর, কোনাখালী ও পেকুয়ার গুটি কয়েক মোবাইলচোর চক্র একজোট হয়ে আমার ছেলের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র; আমার ছেলে নির্দোষ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেপ্তার, পেকুয়া, ব্যবসা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন