parbattanews

পেকুয়ায় ভূঁয়া খতিয়ান সৃজন করে মসজিদের ওয়াকফ এষ্টেটের জমি বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি.পেকুয়া
পেকুয়ায় ভূয়া খতিয়ান সৃজন করে সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ওয়াকফ এষ্টেটের মসজিদের দখলীয় জায়গা বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা য়ায়, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকায় ঘটনা ঘটে। সড়ক জনপথ বিভাগের ওই জায়গাটি চৌমুহনীস্থ পুরাতন জমিদার বাড়ী জামে মসজিদের ওয়াকফ জমির সামনের অংশ হওয়ায় এ নিয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ এবং অবৈধ খতিয়ানধারীর মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া পুরাতন জমিদার বাড়ীর মরহুম মৌলভী নুরুল হক চৌধুরী গং এর মালিকনাধিন ৮৭১ নং খতিয়ানের ৩১৯৪ দাগের ৮ শতক জমি ২০০২-২০০৩ সালে সরকার মামলা নং ১২/২০০২-২০০৩ মূলে অধিগ্রহণ করে খাস খতিয়ানে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই দাগের জমি এবিসি মহাসড়কের এপ্রোস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর পরেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী পেকুয়া পুরাতন জমিদার বাড়ী মসজিদের জমি যাতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে মসজিদের ব্যয় নির্বাহ করছে। সূত্র জানায়, সড়কের বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ওই ৮ শতক জমি ২০১১ সালে এসে ৮৭১ নং খতিয়ানের আরেক ওয়ারিশ মরহুম ছৈয়দুল হক চৌধুরীর পুত্র সাহাব উদ্দিন চৌং প্রকাশ বাচ্ছা মিয়া নিজের নামে তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে খতিয়ান সৃজন করে যার নং-২৮৯৫। পরে সাহাবউদ্দিন চৌং প্রকাশ বাচ্ছা মিয়া আরেক ব্যক্তিকে ওই জমি বিক্রি করে দেয়।

সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি কিভাবে ব্যক্তির নামে খতিয়ান সৃজন হয় জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা কানোনগো শোক হরণ চাকমা জানান, সৃজিত ওই খতিয়ানটি আমার আমলে হয়নি। তবে সড়ক বিভাগ যদি খতিয়ান ভুক্ত কোন জমি অধিগ্রহণ করে থাকে তাহলে ভূমি অফিসে দাগ, খতিয়ান, নাম্বার উলে¬খ করে একটি চিঠি দিয়ে রাখলে জমির দাগগুলো আমরা বালামের মধ্যে মার্ক করে রাখি। এক্ষেত্রে হয়ত ভূমি অফিসে সড়কের অধিগ্রহণের কোন তথ্য না থাকায় খতিয়ান হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে প্রমাণপত্র সহ কোন লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে খতিয়ান মালিক সাহাব উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন বলে জানান।          

Exit mobile version