parbattanews

পেকুয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ বনায়ন নিয়ে উপকারভোগীরা বিপাকে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালীতে মেয়াদোত্তীর্ণ সামাজিক বনায়ন নিয়ে উপকারভোগীরা বিপাকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বনায়নের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বনবিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা অব্যাহত রাখায় সৃজিত গাছ গাছড়া পাহাড়া দিতে গিয়ে উপকারভোগীদের দিনের আয় রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে বলে জনশ্রুতি পাওয়া গেছে।

জানা যায়, সরকারের চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের অধীন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া রেঞ্জের পাহাড়চাঁদা বনবিট কর্তৃপক্ষ ফরেষ্ট্রী সেক্টর প্রকল্পাধীন বাফার জোন উডলট বনায়ন আওতায় স্থানীয় শিলখালী ইউনিয়নের রিজার্ভ ০৪নং সিটের ৪০হেক্টর রিজার্ভ বনভুমিতে বিগত ২০০৪সালে সামাজিক বনায়ন সৃজন করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই বনায়নে ৪০ জন দরিদ্র জনগোষ্টিকে উপকারভোগীকে দেখভালো নিয়োগ বরাদ্ধ দেন। রাতদিন পাহাড়া দিয়ে নানা বাঁধা বিপত্তি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে উপকারভোগীরা ইতিমধ্যে তাদের বনায়ন চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ করে।

এসময় উক্ত বনায়নের গাছ রক্ষা করতে গিয়ে অনেক উপকারভোগী দূর্বৃত্তদের নানা অমানূষিক শাররীক, মানসিক ও আর্থিক হয়রানী নির্যাতনেরও শিকার হন বলে জানান। বিশেষ করে উক্ত বাগান লাগোয়া দক্ষিন পাশের্^র অকশান ও নবায়ন হওয়া ২০০৩সনের সামাজিক বনায়ন, পূর্ব পাশের্^র ২০০৬সনের উজাড় হওয়া বনায়ন, উত্তর পূর্ব কর্ণারে ২০০৬সনের সম্পূর্ণ উজাড় হওয়া বনায়ন এবং বারবাকিয়া বনবিটের ২০০৪সনের সামাজিক বনায়নের শতকরা ৯০/৯৫ভাগ বনায়ন লোপাট হওয়ায় বর্তমানে ৪০জন উপকারভোগীর উক্ত বনায়নে সংঘবদ্ধ চোরেরদল হানা দিয়ে গাছ লোপাট পাঁচারের পাঁয়তারার অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে, উপকারভোগী দলনেতা মোঃ আবদুল আউয়াল মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষোভ, দূঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ ৪০জন উপকারভোগীর সামাজিক বনায়ন অকশান দেয়া না হলে অচিরেই উক্ত সামাজিক বনায়ন উজাড় ও লোপাট হয়ে যাবে। আর এতে করে উপকারভোগীদের যেমন অপূরনীয় ক্ষতি হবে তেমনি সরকার ও বনবিভাগ বিপূল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে। বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।

Exit mobile version