parbattanews

পেকুয়ায় মৎস্য প্রজেক্ট দখলে নিয়ে বিরোধ: ৭ জনকে কুপিয়ে জখম, আটক ২

কুপিয়ে আহত

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় চিংড়ি প্রজেক্টের জায়গা দখলের বিরোধ নিয়ে মহিলাসহ ৭ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেছে চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত একজন ছাত্রও রয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

হামলার পর ভিকটিমরা যাতে হাসপাতালে না আসতে পারে ওই অস্ত্রধারীরা চলাচল পথে সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে ব্যারিকেট তৈরী করে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় পুলিশ উভয় পক্ষের দু’জনকে আটক করে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সিরাদিয়া এলাকায়।

আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত. এমদাদ মিয়ার পুত্র আফতাব উদ্দিন (৪৮) তার পুত্র সালাহ উদ্দিন (২৫), মৃত.জালাল আহমদের পুত্র পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্র হাফেজ জমির উদ্দিন (১৭), আব্দুল করিমের পুত্র ওয়াহিদ (৭), মৃত.দানু মিয়ার স্ত্রী ছেমন আরা (৪৮), সুজা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪২) ও আফতাব উদ্দিনের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৩৮।

এদিকে অপর পক্ষের আহতরা হলেন জিন্নাত আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন(৪৫), আহমদ আলীর পুত্র হোছাইন(২০), জিন্নাত আলীর পুত্র আহমদ আলী(৫০), আহমদ আলীর পুত্র হাসান(২৫), রুস্তম আলী (৬০), আমির হোসেনের পুত্র বদ(২৮)।

এদের মধ্যে আফতাব উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন ও মাদ্রসা ছাত্র জমির উদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তাদের মাথা, ঘাড়, হাত ও পিঠে অসংখ্য ধারালো কিরিচের মারাত্মক জখম রয়েছে।

আটককৃতরা হলেন ওই এলাকার মৃত জিন্নাত আলীর পুত্র মো: বাবুল ও আবুল কাসেমের পুত্র কাইসার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছিরাদিয়া এলাকায় ৬২জন অংশীদারের সমন্বয়ে একটি চিংড়ি প্রজেক্ট রয়েছে। ওই দিন সকালে জমির বিরোধ নিয়ে আফতাব উদ্দিনের সাথে তার শেয়ারদার মকছুদ ও তৌহিদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। ওই সময় পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা রুস্তম আলীর পুত্র মকছুদ, মো: আলীর পুত্র হাসান, হোসেন, খোরশেদ, মৃত.জিন্নাত আলীর পুত্র জয়নাল, বাবুল, আজম খানের পুত্র নাইবু, জসিম উদ্দিনের পুত্র কফিল, আরফান, বাবুলের পুত্র হেফাজ, মৃত.বাদশাহ মিয়ার পুত্র শাহাব উদ্দিন, আমির হোসেনের পুত্র বদিউল আলম, নজরুলসহ ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আফতাব উদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। ওই ঘটনার জের ধরে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাদেরকে আহত করেছে।

আফতাব উদ্দিনের স্ত্রী পারভিন আক্তার জানিয়েছেন, তার ভাই আযম খান এ ঘটনার নেপথ্যে নায়ক। তিনি সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তার লোকজনকে দিয়ে আমার বাড়িতে এসে এ নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে।

আ’লীগ নেতা আযম খানের ভাগিনা কাইসার জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ওই নেতা আমাদের জায়গা জমি কেড়ে নিয়েছে। প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার ভয় দেখায়। ইতিপূর্বে ওই ব্যক্তি এলাকার সাধারণ মানুষের প্রায় ১০কানি জায়গা জবর দখল করে ফেলেছে।

সূজা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা এবং মৃত দানু মিয়ার স্ত্রী ছেমন আরা জানান, আযম খানের অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় আমরা সমাজ পর্যন্ত আলদা করে ফেলেছি। এরপরেও সে তার বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিব জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রেকড করা হবে।

Exit mobile version