পেকুয়ায় যুবলীগ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের ৪ ভাইকে বিভিন্ন অজুহাতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগি জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানিয়েছেন দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ও তার পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।

ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে পেকুয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগের ভিত্তিকে শক্তিশালী করায় বিগত বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকার থাকা কালে জেল জুলুম ও চরম নির্যাতন সহ্য করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। অথচ সেই পরিবারের সবাইকে সম্পূর্ন উদ্দেশ্যে প্রণোনিত হয়ে সুবিধাবাদী আওয়ামী রাজনীতির এক ধরনের রাজনীতিবিদ প্রশাসনের দূনীর্তিবাজ কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি শুরু করেছে। ইতোমধ্য তাকে ও তার পরিবারের অন্য ৪ ভাইকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জীবন দূর্বিসহ করে তুলেছে।

এমনকি তার কলেজ পড়ুয়া ছোট ভাইকেও কয়েকটি মামলায় আসামী করা হয়েছে। তার লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, কলেজ জীবন থেকে লেখাপড়া শেষ করে ছাত্রলীগের ব্যানারে সদর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সর্বকনিষ্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে সবাইকে থাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি পুরো পেকুয়ায় তৎকালীন চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে উন্নয়নে আলোকিত করেছিলেন। এক সময় ছাত্রলীগের উপজেলা সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ সময় প্রত্যন্ত গ্রামে নিরন্তর পরিশ্রম করে উপজেলা ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করতে আপ্রান চেষ্টায় সফলতা লাভ করেন। তারপর সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করতে তাকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করা হয়। সর্বশেষ পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলারদের সরাসরি ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং তৃণমূলে বিশৃংখল অবস্থায় পড়ে থাকা যুবলীগকে সু-সংগঠিত করতে নিজের মেধা পরিশ্রম ও আর্থিক ব্যায় করে সেরা সংঘঠনের রুপান্তিরত করেছেন।

এখন পর্যন্ত পেকুয়া উপজেলায় এক মাত্র যুবলীগই বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি-জমায়াতের সাথে শক্ত হাতে মোকাবেলা করে। অথচ সেখাকে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগে বর্তমানে দুজন ছাড়া আর কেউ নাই। যার কারণে আওয়ামীলীগের জাতীয় দিবস থেকে শুরু করে সরকারী দিবস গুলো পর্যন্ত পালন করেনা তারা। এমনকি গত ২৬ মার্চ শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পর্যন্ত যায়নি। সর্বশেষ পেকুয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে জয় করাতে তাদের ভুমিকা কি রকম ছিল তা পেকুয়াবাসী দেখেছে। অথচ জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার এবং উপজেলার যুবলীগকে সাথে নিয়ে দলীয় প্রার্থীকে জয় করাতে নিজের আর্থিক ব্যায়সহ রাত দিন পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কি হয়েছে  তা পেকুয়াবাসী দেখেছে।

জেলা আওয়ামীলীগ নেতা চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমের নির্দেশে বর্তমান পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্যাতনের মাত্রা এতই বেড়ে গিয়েছিল এলাকাবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল অন্যত্র। যা বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সুবিধাবাদি এ নেতারা পেকুয়া বাজার ও ম্যানটেক ডেভলাপার কোম্পানি দখল করতে বিভিন্ন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ে যেভাবে অস্ত্রের মহড়া, গুলিবিনিময় ও ভাংচুর করেছে তার মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানায়। তাদের অত্যাচারের মাত্র এতই বেড়ে গিয়েছিল প্রশাসন পেকুয়া বাজারে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে বাধ্য হয়েছিল।

এই বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিগত কিছুদিন থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের কথিত কিছু নেতা তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানিত হয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্য করতে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছে। এর মঝে টইটং আওয়ামীলীগের সম্পাদক জাহেদ এর সাথে জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে তার প্রতিপক্ষের সাথে চৌমহনীতে মারামারি হয়। তাতে মামলার আসামী করা হয়েছে আমাকে ও আমার ৪ ভাই এবং যুবলীগের নেতাকর্মীদের। এর পর সর্বশেষ শিব্বির নামের এক ডাকাতকে স্থানীয় জনগন গণধোলায় দেই। তার ঘটনার ২০দিন পর পেকুয়া থানার ওসি মোটা অংকের টাকা নিয়ে মামলায় আসামী করা হয়েছে আমাকে ও আমার পরিবারসহ যুবলীগের নেতাকর্মীদের। তখন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

এমনকি হিংসার বসবতি হয়ে ওই মামলায় স্কুল শিক্ষক, এলএলবির পরিক্ষার্থী মাষ্টার মোজাম্মেল হক ও কলেজ ছাত্র বাপ্পিকে আসামী করা হয়েছে। তখন তারা তাদের কর্মস্থলে ছিল। তিনি এসব মিথ্যা মামলায় উধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তেক্ষেপ কামনা ও দোষী পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবী করেছেন।    
 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন