parbattanews

পেকুয়ায় শর্টসার্কিটের আগুনে বসতবাড়ি ও দোকানঘর পুড়ে ছাই

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে ১৩টি বসতবাড়ি ও একটি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায় । এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৫ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাইম্যাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রোকেয়া বেগম নামের এক মহিলা ও আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে একই এলাকার আকতার হোসেনের স্ত্রী।

এ সময় খবর পেয়ে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকলকর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন আনেন।

সকালে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তপরিবারগুলোকে ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সোহেলের কুলিং কর্ণার দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাশের মৃত বশরত আলীর ছেলে পেকুয়া বাজারের হকার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী আকতার হোসেন, সবজি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, পেকুয়া বাজার হকার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাদশাহ, তার ভাই হকার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী জুনাইদ, জুতা ব্যবসায়ী রিদুওয়ান, মৃত গুরামিয়ার ছেলে আশত আলী, আশত আলীর ছেলে মনিহারি ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন, বাবুর্চি আব্দু শুক্কর, বাবুর্চি জসিম উদ্দিন, ভাঙারি ব্যবসায়ী নুরুল আজিম, মৃত এশত আলীর ছেলে হকার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন ও সবজি ব্যবসায়ী মো.সোহেলের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন কর্মকর্তা শোয়াইব হোসেন মুন্সি বলেন, রাত ৩টার দিকে আমরা ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পারি পেকুয়া সদরের বাইম্যাখালী এলাকায় আগুন লেগেছে। সাথে সাথে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১৩টি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে সে ঘরগুলো গাছ-বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো। ফলে আগুনের তীব্রতা বেশি ছিলো। ১৩ বসতবাড়ি ও একটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

পেকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহদুর শাহ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, আমি অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। তাঁদের পর্যাপ্ত সহযোগিতার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমি একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।

Exit mobile version