parbattanews

পেকুয়ায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

পেকুয়া প্রতিনিধি:
এক মাস সিয়াম সাধনার পর মসুলিমদের প্রিয় উৎসব পবিত্র ইদুল ফিতর কে ঘিরে দিন দিন জমে উঠেছে উপজেলার বাজারগুলোতে। এখন ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ধম ফেলোর মত সময় এখন তাদের নেই।

দোকানের বিক্রয় কর্মীদের মুখে মুখে এখন একধরণের ভাষা উপলদ্ধি করা হয়েছে আপা খালাম্মা ভাইয়া আসেন না আসেবেন না ! বিক্রয়কর্মীদের এই ধরণের মনগড়ানো ভাষা শুনে মুখদ্ধ হয়ে ক্রেতারা কাপড় দেখতে ব্যস্ত হয়ে উঠে এবং প্রতি মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছে।

এদিকে কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রায় দোকান বাহারী সাজে সাজ দিয়ে দোকান কে আর্কষণীয় করে তুলছে। নিত্য নতুন ডিজাইনের শাড়ি, শার্ট, থ্রিপিচ এনে দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রেখে প্রতিযোগীতা দিচ্ছে।

এবার মেয়েদের পোশাকের মধ্যে বাজারে এসেছে ফেইসবুক, বোঝেনা রে বোঝে না, গোলাপী। ঈদের দিন যতই কাছে আসছে বাজারে মানুষের ভীড় বেশি হচ্ছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোষাক কিনতে এই দোকান থেকে এই দোকানে এই মার্কেট থেকে এই মাকের্টে ছুটে বেড়াচ্ছে তার পরও তাদের একমাত্র উদ্দ্যেশ পছন্দের কাপড়টি ক্রয় করা।

বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য নিন্ত্রয়ণ করতে ব্যর্থ হাওয়ার ফলে দ্রব্য মূল্য আজ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়াই তাদের পছন্দ পোষাকটি কিনতে পারছেনা। যদিও অন্যান্য বছরের চেয়ে এই বছর পোষাকের মূল্য বেশি তারপর ও ক্রেতাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে সকলেই যেন ঈদের দিন নতুন জামা পরিধান করে ঈদের আনন্দে মেতে উঠতে পারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ধনী, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত শ্রেণীর লোকজন সকলই ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তারা তাদের মায়ের সাথে ভাইয়ের সাথে বোনের সাথে বাজারে এসে এই কাপড়টি কিনব, এই জুতাটি কিনব বলে ছুড়াছুড়ি করছে।

এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর দোকানীরা পোষাকের দাম বেশি হাকাচ্ছে। তবে ছেলে মেয়েদের পছন্দ হলে যেই দামের ই হোক না কেন কিন্তু না কিনে উপায় নেই ছেলে মেয়েরা তো মানচ্ছে না কি করব! উপজেলার প্রধান বিপনীন কেন্দ্র পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহম্মদ চৌধুরীর বাজার। দিন দিন ক্রেতারা পেকুয়া বাজারের দিকে অভিমুখী হচ্ছে।

পেকুয়া বাজারের সুন্দুরী ক্লথ ষ্টোরের মালিক এই প্রতিনিধি কে জানান ক্রেতাদের অভিযোগ সত্য নয় কারণ আমরা বেশি দামে আড়তদারদের কাছ থেকে পাইকারীভাবে ক্রয় করে এনে আবার আমরা খুচরা বিক্রয় করছি। তবে এবার বড়দের কাপড়ের চেয়ে শিশুদের পোষাকের দাম বেশি। আর বেশি দামে পোষাক ক্রয় করতে যাদের সামর্থ নেই তারা কোন উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত হকার্র মাকের্টে ভিড় জমাচ্ছে।

এদিকে বসে নেই কসমেটিক বিক্রেতারা ও তারা ও পোষাকের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক বিক্রয় করছে। কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি কসমেটিকের দোকানে ও তরুণীদের ভিড লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান কাপড়ের দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ঈদের ২ কিংবা এক দিন আগে আরও ক্রেতা বাড়বে। এদিকে হকার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে মধ্য ও নিম্ন শ্রেণীর লোকরাই হকার মাকেট থেকে পোষাক ক্রয় করছে।

অন্যদিকে কসমেটিক সামগ্রী ক্রয় করতে মেয়েরা ভিড় করছে এ হকার মাকেটে। এদিকে বসে নেই বিউটি পালারগুলো। তারাও ঈদের জন্য বিভিন্ন ধরণের সাজ দিচ্ছেন তরুনী এবং গৃহবধুকে। বিউটি পার্লারেও পদচারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে।

এই ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পেকুয়া বাজারের আইনশৃঙ্খলা ও ক্রেতাদের নিরভয়ে কেনাকাটা করতে পারবে বলে জানান।

Exit mobile version