parbattanews

পেকুয়ায় সরকারি জায়গায় ব্যবসায়ী সমিতির বহুতল ভবন নির্মাণ



পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকারি জায়গায় ২০০২ সালে পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের দ্বি-তল কার্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে দখল প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয় অন্তত আরও শতাধিক ব্যক্তি তারাও নির্মাণ করেন বহুতল ভবন।

তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে উপজেলা প্রশাসন অন্তত শতাধিক ভবন উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে। ওই সময় ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা প্রশাসনের নির্দেশে দ্বি-তল ভবনের নিচের তলার দেওয়াল ভেঙে দিয়ে শুধুমাত্র উপরের তলা রাখেন। ওই সময় ব্যবসায়ী নেতারা প্রশাসনের কাছে মৌখিক অঙ্গিকার করেন অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি জায়গা থেকে তাদের কার্যক্রম সরিয়ে অন্যত্রে কার্যালয় করবেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পান বাজার সড়কের পাশে সরকারি খাস জায়গায় ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়টির অবস্থান। ভবনটির নিচ তলায় নতুন করে পাকা দেওয়াল দেওয়া হয়েছে। সিঁড়ি নির্মাণ করে তৃতীয় তলার কাজ করা হচ্ছে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে পাঁচ-ছয়জন শ্রমিক এ নির্মাণ কাজ করছেন। মকছুদুর আহমদ, রব্বত আলী, মোহাম্মদ হোছাইন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি জায়গা থেকে প্রশাসন তাদের ভবন ভেঙে দিলেও ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়টি গত আট বছরেও উচ্ছেদ করা হয়নি। এখন প্রশাসনের নাকের ডগায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ের পাশে তাঁদের ভবন ছিল। যে সব জায়গায় তাদের ভবন ছিল সেখানে তারাও ভবন নির্মাণ করবেন। প্রশাসন তাদের ভবন উচ্ছেদ করে অনেক টাকার ক্ষতি করেছেন।

জানতে চাইলে পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড এর সভাপতি আকতার আহমদ বলেন, সরকারি জায়গা হলেও সেটি জনস্বার্থে নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ভবনের নিচ তলায় গণ শৌচাগারও করা হবে। অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েই সরকারি জায়গায় ভবন করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. মারুফুর রশিদ খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে কেউ অনুমতি নেন নি। বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে সরকারি জায়গায় ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে।

Exit mobile version