পেকুয়ায় সুই-সুতার যুদ্ধে দর্জিদের বেড়েছে ব্যস্ততা, বসে নেই অনলাইনে অর্ডারও

fec-image

সুই-সুতার যুদ্ধে দর্জিদের বেড়েছে ব্যস্ততা, কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্ত দর্জিরা। বিরামহীনভাবে চলছে সেলাই যন্ত্রের খটখট শব্দ। দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, বাড়ছে ব্যস্ততা তাঁদের। রয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহের চাপ। ঈদকে সামনে রেখে আগেভাগেই নিজেদের পছন্দের জামা কাপড় বানিয়ে নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষরা ছুটছেন এখন দর্জির দোকানে। ঈদকে ঘিরে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কক্সবাজারের পেকুয়ার দর্জিপাড়ার কারিগররা।

গতকাল সরেজমিনে পেকুয়া এসডি সিটি সেন্টার, নিউ মার্কেট, নুরুল হক চৌধুরী মার্কেট, ফ্যাশন হাউস ও সড়কসহ বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি দোকানে সেলাই কাজের অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। যদিও এ বছর বিভিন্ন এলাকায় দর্জি দোকানগুলোর ব্যস্ততা বাড়ছে।

রমজানে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। তাছাড়া এবার কারিগরদের দাবিতে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময় মানুষের অর্থ সংকটও রয়েছে। ফলে গ্রাহকদের কাপড় সেলাই করতে কিছুটা বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া এ বছর এখন পর্যন্ত পোশাক তৈরির প্রতি মানুষের ঝোঁক তুলনামূলক কম। তারপরও অনেকেই রেডিমেট পোশাকের চেয়ে নিজের পছন্দ এবং মাপমতো পোশাক বানিয়ে নিতে চান। এক্ষেত্রে ভরসা দর্জিও দোকানগুলো। তবে অনেক ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদকে সামনে রেখে কারিগরদের মজুরি বৃদ্ধির অজুহাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন মালিকরা। তবে টেইলার্সের কারিগররা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে আমরা কি করবো। তাই আমরা একটু বাড়তি নিচ্ছি। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮টি কাপড় সেলাই করছি। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মজুরি পাচ্ছি। গত বছরের চেয়ে মালিক কিছুটা মজুরি বাড়িয়েছে বলে এবার পরিবার নিয়ে ঈদ ভালোই কাটাবো।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার ঈদ বাজারে এসব টেইলার্সে প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শার্ট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পায়জানা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, লেহেঙ্গা ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, থ্রি-পিছ প্রকারভেদ অনুযায়ী ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, জিপসি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, ব্লাউজ, পেটিকোট ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের উপর নির্ভর করে নেওয়া হয় ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া গর্জিয়াস সেলোয়ারকামিজের মজুরি নেয়া হয় ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পোশাক তৈরির মজুরি বেড়েছে বলে জানা গেছে।

টেইলার্স মালিক বাদশা বলেন, সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি দিয়ে কিনতে হয় বলে দাম বাড়িয়ে নিতে হচ্ছে। এছাড়াও কারিগরদেরকে কমিশন বৃদ্ধি করতে হয়েছে। সেলাই রেটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছুরই দাম বাড়তি রয়েছে তাই সেলাই মজুরিও একটু বেড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ, দর্জি, পেকুয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন