পেকুয়ায় সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট, প্রভাবশালীদের কব্জায় নলকূপ

image_829_239648
পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জনস্বার্থে ব্যবহৃত অধিকাংশ নলকূপ প্রভাবশালীরা কব্জা করে ফেলায় পেকুয়ার সর্বত্রে বিশুদ্ধ সুপেয় পানির কৃত্রিম সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ের কব্জা থেকে জনগণর স্বার্থে এসব নলকূপ উম্মুক্ত করার জন্য জোরালো দাবি উঠেছে।

এদিকে পেকুয়ার শত শত নলকূপ থেকে অবাধ পানি সরবরাহ করতে না পারায় বিপুল জনগোষ্ঠির মধ্যে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দৈনন্দিন কাজ কর্ম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পানির লাগামহীন সঙ্কট থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে পেকুয়া উপজেলার সব স্থানে স্থাপিত নলকূপগুলো প্রভাবশালীদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য সরকারি ও বেসরকারি এনজিও সংগঠন শত শত নলকুপ বসানো হয়েছে। গত ১৯৯১সালের পর পেকুয়ায় সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য সবচেয়ে বেশি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ক্রমাণ্বয়ে এর ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলো স্থানীয় এম.পি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রত্যান্ত গ্রামগুলোতে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য গভীর ও অগভীর শত শত নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

নলকূপ স্থাপনে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে উৎকোচের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা জনস্বার্থের পরিপন্থী ব্যক্তি কেন্দ্রিক সুবিধাভোগী নির্ধারণ করে থাকে। আর তারা এসব নলকূপ কিছুদিনের জন্য জনস্বার্থে উম্মুক্ত রাখলেও পরবর্তীতে জনগণের এ সম্পদ নিজেদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়ায় অধিকাংশ নলকূপ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের জনবহুল পূর্ব গোয়াখালী এলাকায় দীর্ঘ দিনের জন সাধারণের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি নলকূপ একক ব্যক্তি পর্যায়ের দখলে চলে গেছে।

বর্তমানে ওই নলকূপগুলোতে জনগণের কোন  ধরণের সম্পর্ক নেই। প্রভাবশালীরা গায়ের জোরে এসব নলকূপ নিজেদের কব্জায় অনেকটা জবর দখল করে রেখেছে। ওই এলাকায় শত শত বসতি দূরবর্তী স্থান ও অপর এলাকা থেকে সুপেয় পানির যোগান দিতে হচ্ছে।

এছাড়া অনেক পরিবার পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করছে। যা বর্তমান সভ্য সমাজে কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এলাকার সুশীল সমাজ এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পেশী শক্তির বলয় থেকে এসব নলকূপ অবিলম্বে জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য খুলে দিতে সরকারের উর্ধ্বতন মহলের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে জানতে পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.কামাল হোসেনের মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তা বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন