parbattanews

পেকুয়ায় সেচের পানির অভাবে কৃষকদের হাহাকার, ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তা!

পেকুয়ায় সেচের পানির অভাবে কৃষকদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। ধানের চারা রোপণের শুরুতেই পানির অভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সেচ প্রকল্পের কৃষকেরা।

প্রকল্পের বেশকিছু এলাকায় সময়মতো পানি সরবরাহ না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে বীজতলা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সেচের খালগুলোতে অবৈধ বাঁধ দেয়ার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বীজতলায় নষ্ট হচ্ছে চারা, সেচের খাল পানি শূন্য ও জমিন ফেটে চৌচির। আবার জমিতে চারা রোপণ করলেও পানি দিতে না পারায় চারাগুলো মারা যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একমাস আগেই মৌসুম শুরু হলেও জমিতে নেই পানি। তাই ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় বীজতলাতেই নষ্ট হয়ে গেছে চারা। আবার অনেক জায়গা রোপণ করা ধানের চারাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পানির অভাবে।

উপজেলার হরিনাপাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, সেচের পানির অভাবে তার জমি ফেটে চৌচির। তাই নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানের চারা নিয়ে আক্ষেপ তার। শুধু আব্দুল জলিল নন, আশপাশের সিকদারপাড়া, বাইম্যাখালী, নন্দিরপাড়া, টইটং সোনাইছড়ি, পেকুয়া সদরসহ অন্তত ২০টি বিলের কৃষকের দশা একই। এছাড়াও অনেক বিলে পানির অভাবে কৃষকরা চাষ করতে না পেরে অনাবাদী রেখে দিয়েছেন জমি।

অভিযোগ উঠেছে, পেকুয়া বাজারের পাশে বারবাকিয়া ফাশিয়াখালী খালে বেড়া দিয়ে পানি বন্ধ করে জাল বসিয়েছে এক প্রভাবশালী। অন্যদিকে পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পশ্চিম পাশে স্লোইচ গেট বন্ধ করে দোকান নিমার্ণ করে বিলহাছুরা এলাকার আরেক প্রভাবশালী, পেকুয়া সদরের ৭নং ওয়ার্ডের তেলিয়াকাটাও পানি চলামান খালে বাঁধ দিয়ে পানি বন্ধ করছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এলাকার বিভিন্ন খালগুলো প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। পানি চলাচলে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো অতিদ্রুত সময়ে খনন করে না দিলে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারবে না।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন জায়গায় পানি সেচের অভাবে কৃষকরা কষ্ট পাচ্ছে ধান চাষে। পানির জন্য ১০০ হেক্টরের মত জমিতে চাষাবাদের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে।

এ বিষয় পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানান, কিছু অসাধু লোকজন খালে বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে অনেক বাঁধ ভেঙে উচ্ছেদ করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version