parbattanews

পেকুয়ায় সড়কের উপর এক কি.মি দৈর্ঘ্যের সাঁকো

PEKUA PIC.MOGNAMA -27-08-16

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় সড়কের উপর এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সাঁকো নিমাণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে সড়ক পরিণত হয়েছে খালে। যে কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল কয়েক হাজার মানুষ।

ঘূর্ণিঝড়ে বিলীন হওয়া ওই গ্রামীন সড়কে ব্যক্তি উদ্যেগে নির্মিত হলো প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি সাঁকো। এতে দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু পরবর্তী বিগত তিনমাস যাবৎ সীমাহীন কষ্টে কাঁদা মাড়িয়ে এ সড়কে চলাচল করতে হয়েছে পাশ্ববর্তী তিন গ্রামের বাসিন্দাদের।

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড়ের মটকাভাঙ্গা, পশ্চিম মটকাভাঙ্গা, এয়াদ উল্লাহ পাড়া থেকে সোনালী বাজার সড়কে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে সাঁকোটি তৈরী করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ওই গ্রামীণ সড়কের প্রায় ১কিলোমিটার অংশ পাশ্ববর্তী জমির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আকস্মিকভাবে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ওই সড়কের উপর নির্ভরশীল আশপাশের ৩টি গ্রামের জনসাধারণ ও কমপক্ষে পাঁচটি স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানান, গ্রামীন এ সড়কের বিশাল অংশ বিলীন হয়ে জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। ওই এলাকার আশপাশে কোন সড়ক বা চলাচলের উপযোগী জমি না থাকায় পুরো এলাকার লোকজন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলো। অনেকে বাধ্য হয়ে সড়কের এ অংশ নৌকা দিয়ে পারাপার করেছেন অথবা কাদা মাড়িয়ে চলেছেন।

স্থানীয় আক্কাস আহদম, জয়নাল আবেদীন, এলেমুন নাহার ও সায়রা বেগম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান তাদের দূর্ভোগ লাঘবে ওই স্থানে একটি সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন। এ কারণে তাদের মতো অসংখ্য মানুষ চলাচল করতে পেরে আনন্দিত।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে এ ইউনিয়নে অনেক বসত ঘর, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মৎস্য ঘের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে ৬নং ওয়ার্ড়ের একমাত্র সড়কটি ভেঙ্গে জলাশয়ে রূপ নেয়ায় অবর্ণনীয় জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই দূর্গত লোকজনের চলাচলের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় রেখে নিজে এটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। সাঁকোটি তৈরীতে ১২জন শ্রমিক ৬দিন কাজ করেছেন। সাঁকোর জন্য বাঁশ ও অন্যান্য উপকরণ প্রায় ৫০হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন দূর্গত লোকজনকে আর কাঁদা মাড়িয়ে চলতে হয়না। কিছুটা হলেও কমেছে যাতায়াতের বিড়ম্বনা। জরুরী ভিত্তিতে বিলীন হওয়া সড়কটি সংস্কার করা হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version