পেকুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধসহ আহত ৪

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় ৯০ বছর বয়সীবৃদ্ধ ও ৩ ছেলেসহ একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সবজীবনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে নুরুল আবছার (৯০), তার ৩ ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৭), সোলতানুল ইসলাম (৪২), শাহেদুল ইসলাম (৩৪)।

ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হামলার জের ধরে বারবাকিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সবজীবনপাড়ায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৬০ শতক ফসলি জমি নিয়ে সবজীবন পাড়ায় মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে নুরুল আবছার ও পূর্ব জালিয়াকাটার মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ বারেক গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে মৃত আবদু সাত্তারের ছেলে দরফ আলীসহ ৭ থেকে ৮ জনের বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন বিরোধী জমিতে হানা দেয়।

এ সময় নুরুল আবছার গংদের ভোগ দখলীয় জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিল। এর জের ধরে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় নুরুল আবছার ও তার ৩ ছেলেকে পিটিয়ে জখম করে।

নুরুল আবছারের ছেলে আহত সোলতানুল ইসলাম জানান, আমি রাজধানী ঢাকায় থাকি। বাড়িতে এসে হামলার শিকার হয়েছি।

আহত নজরুল ইসলাম জানান, এ জায়গা আমাদের পূর্ব পুরুষের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি। শতাব্দী ধরে জমিতে আমরা ফসল ফলাই। আদালতের ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারা এসব না মেনে বহিরাগতদের নিয়ে এসে হামলা করেছে।

নুরুল আবছারের ছেলে প্রফেসর রফিকুল ইসলাম আজম জানান, থানায় ওসি সাহেব এদেরকে বলে দিয়েছেন সংঘাত না করতে। যার যার অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা এ সব অবজ্ঞা করে লাঠিসোটা নিয়ে এসে হামলা চালায়। আমার বাবা ১ জন বয়স্ক লোক। অন্তত তাকে হামলা থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন ছিল। উনি পাকিস্তান আমলের ১ জন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। আমার ৩ ভাইও উচ্চ শিক্ষিত। আজকে এদেরকেও নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

অভিযুক্ত দরফ আলী জানান, উক্ত জমি আমাদের পূর্ব পুরুষের। তারা জোরকরে দখল করে রেখেছে। এটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। আমরা সকালে কাজ করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আহত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন