কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৩দিন ধরে চার বছর বয়সী শিশু কন্যা সায়মাকে নিয়ে নাসিমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ রয়েছেন।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী মাদ্রাসাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ গৃহবধূ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সরকারীঘোনার মৃত নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আরফাতের স্ত্রী ও তার শিশু কন্যা।
এদিকে তাদের খোঁজ পেতে ওই গৃহবধূর শাশুড়ি ছেনুয়ারা বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ বছর আগে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সরকারিঘোনার মৃত নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আরফাতের সাথে টইটং ইউনিয়নের বটতলী মাদ্রাসাপাড়ার আবদুস ছবুরের মেয়ে নাসিমা আক্তারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ওই সংসারে সায়মা নামের ৪ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ দিকে আরফাত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে থাকেন। বটতলী মাদ্রাসাপাড়ায় শ্বশুড়বাড়ির পাশে নিজ পৃথক বাড়ি তৈরি করে। সূত্র আরো জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে আরফাতের স্ত্রী নাসিমা আক্তার তার কনে শিশুকে নিয়ে পরকিয়া প্রেমের ফাঁদে পড়ে ঘর থেকে সটকে পড়ে।
অভিযোগের বাদী ওমান প্রবাসী আরফাতের মা ছেনুয়ারা (৬৫) জানান, নাসিমা আমার ছেলের স্ত্রী। ছেলে ওমান থাকে। ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আমার ছেলেকে ফুসলিয়ে টইটংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জায়গা কিনে বাড়ি করে। টাকা-পয়সা সব স্ত্রীর নামে পাঠায়। পুত্রবধূ নাসিমা পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে যায়। হিরাবুনিয়ার এক ছেলেকে নিয়ে সে পালিয়ে গেছে এমন একটি সংবাদ আমরা পেয়েছি। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মূল্যবান মালামাল ও জমির কাগজপত্রাদিসহ নিয়ে পালিয়ে যায়। আমার নাতনি সায়মাকে নিয়ে আমি শঙ্কিত। পুত্রবধূ ও তার প্রেমিক মিলে আমার শিশু নাতনীকে খুন করতে পারে এ শঙ্কায় আমি থানায় গিয়েছি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য জানান, অভিযোগের বিষয়টি এখনো আমি ওয়াকিবহাল নই। দায়িত্বরত অফিসারকে দিয়েছে কিনা দেখতে হবে।
