পেকুয়া থানার একশত গজের মধ্যে মাহমুদ সেন্টারে চলছে জমজমাট মদের আসর : পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক
এ.এম.জুবাইদ,পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
পেকুয়া থানার একশত গজের মধ্যে মাহমুদ সেন্টারে চলছে জমজমাট মদের আসর এ নিয়ে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, পেকুয়া থানার পুলিশের নাগের ডগায় চৌমুহুনীস্থ মাহমুদ সেন্টারে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকসেবীরা এসে প্রতিনিয়ত আসর বসাচ্ছে। মদ ও বিভিন্ন মাদক সামগ্রী সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছে এক সিন্ডিকেট। প্রকাশ্যে পেকুয়া চৌমুহুনীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলারা কাপড়ের ভিতর করে মদ ও হিরোইন এবং গাঁজা নিয়ে এসে মাহমুদ সেন্টারে বিপণন শুরু করে। এসব কিছু পুলিশ জানলেও জানেনা বলে ভান করে থাকে। ফলে ওই মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা আদায় করা হয় বলে সূত্রে জানা যায়। যার ফলে তারা এভাবে প্রকাশ্যে মদ বিক্রয় করার সাহস করছে।
এদিকে অনেক সরকার দলীয় গুটিকয়েক নেতাকে প্রতিদিন এক একটি করে মদের বোতল দিলে সব কিছু শেষ হয়ে যায়। একটি মদের বোতলের বিনিময়ে পুরো যুবসমাজ ধবংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে একই চক্র। রাহাতজানিপাড়া মো: কালু মদ বিক্রয়ের দায়ে কিছু দিন আগে ৬ মাসের জেলে খাটে। কারামুক্তির পর সে আবারোও বেপরোয়া হয়ে মদ বিক্রয় শুরু করছে। পেকুয়া সিকদার পাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী খুরশিদা বেগম প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় কাপড়ের ভিতরে করে চৌমুহুনীতে এসে বিক্রয় করে দেয় এই বিপণনী কেন্দ্রে। অপর দিকে ভোলাইয়াঘোনা এলাকার কুলছুমা বেগম প্রতিদিন বড় বড় ড্রাম করে বাংলা মদ ও গাঁজা এবং হিরোইন বিক্রয় করছে। সন্ধ্যা হলেই ভোলাইয়াঘানা স্টেশনে বসে মদের হাট। এতে খুব সহজে হাতবাড়ালেই বিভিন্ন মাদক পাওয়া যায়। কিছু দিন আগে কুলছুমা বেগমের বসতঘরে ড্রাম ভর্তি মদের আসরের সন্ধান পেলে পেকুয়া থানার এস আই রেজাউল করিম চৌধুরী সঙ্গী ফোর্স নিয়ে কুলছুমার বসতঘরে অভিযান চালাতে গেলে কুলছুমা ও তার স্বামী পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করতে চাইলে এস আই রেজাউল করিম চৌধুরীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে যায়। পেকুয়া চৌমুহুনীতে দেদারছে বাংলা মদ সহ দেশী-বিদেশী-তৈরী বাংলামদ বিক্রয়ের এক মাত্র বিপণনী কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত হয়েছে চৌমুহুনীস্থ মাহামুদ সেন্টার। সন্ধ্যা হলেই এ সেন্টার জমজমাট হয়ে যায়। দিন ঘনিয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলে ওই বিপণনী কেন্দ্রের আশে পাশে মাদকসেবী লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। এ বিপণনী কেন্দ্রে আ’লীগ নেতা এ টি এম বখতিয়ার উদ্দিন, কোণাখালীর শহিদুল মেম্বার, সাইফুল ইসলাম, সাহাব উদ্দিন হিরু, ফাশিয়াখালীর নুরুল আজিমের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত মাহামুদ সেন্টারে মদ সেবন করে আসছে।
সূত্রে জানিয়েছে, মদ বিক্রয়ের বিনিময়ে প্রতিদিন এ সিন্ডিকেট কে একটি করে মদের বোতল দিতে হয়। মদ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। ফলে দিন দিন ধবংসের পথে যাচ্ছে যুবসমাজ। এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে পুলিশকে বার বার জানালেও পুলিশের ভুমিকা রহস্যজনক। এ মাদক দ্রব্যর কাছ থেকে রেহায় পাচ্ছে না যুবসমাজ। এখন অভিভাবকমহলরা চিন্তাবোধ করছে তাদের ছেলেদের কে মরণ নেশা মাদকের ছোবল থেকে বাঁচার জন্য। প্রশাসনের কাছে অভিভাবকমহলের জোর দাবী এসব মাদকস্পর্টগুলোতে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতাদের কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে বিকাল সাড়ে ৪ টায় মাহমুদ সেন্টারের মালিক ইয়ার মাহামুদের সাথে তার নিজস্ব কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা মাদক বিক্রয়ের স্বীকার করে বলেন, এগুলো চললে কি হয়। আমি অন্য কারো জায়গায় করছি না, আমার নিজস্ব জায়গায় করছি। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাঈন উদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান দ্রুত সময়ে মাদক স্পটগুলো চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হবে। যেদলের লোক হক না কেন অপরাধী অপরাধীকে শাস্তিভোগ করতে হবে।