parbattanews

পেকুয়া পান বাজার সড়কের বেহাল দশা

পান বাজার সড়কটির বেহাল দশা।

কাদাঁর স্তুপে প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পান বাজার সড়কটির বেহাল দশা। স্তুপীকৃত প্রচন্ড কাঁদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে সড়কটি। কাঁচা তরকারির পঁচনশীল অবশিষ্ট অংশ, ময়লা, নর্দমা ও পঁচন দ্রব্যাদির বিশাল স্তুপ জমে সড়কটি বর্তমানে বিকল হয়ে পড়েছে।

পান বাজার পয়েন্টে প্রায় ২ চেইন কাঁদায় ভরপুর। ময়লাযুক্ত পানি সড়কে জমে রয়েছে। তরিতরকারী ও মাছ বাজারের মাছের দুর্গন্ধযুক্ত বাসি পানিও সড়কটিতে প্রায় জমে থাকে।

গত এক বছর ধরে পান বাজার সড়কের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। বেহাল দশায় পরিনত হওয়ায় সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের উত্তর অংশে বিশাল তরকারীর বাজার বসে। পরিবহনের জন্য এ সড়কটি সর্বোত্তম ব্যবস্থা। তবে সড়কটি নাজুক থাকায় গাড়ী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

কাঁচা দ্রব্যাদি সরাসরি বাজারে পৌঁছতে সক্ষমতা হারিয়েছে। পেকুয়া বাজার উপজেলার প্রধান হাট বাজার। ওই বাজারের প্রসার দিন দিন বেড়ে গেছে। উপজেলার অন্যতম প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে প্রতিদিন কেনাকাটা হয়। যদিও সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। মঙ্গলবার ও শনিবার সপ্তাহিক হাটের দিন।

তবে প্রতিদিন এ বাজারে সবকিছু কেনা বেঁচা হয়। সকাল ও বিকেলে দু’দফা মাছ ও তরকারীর ভ্রাম্যমান বাজার বসে। এ ছাড়া কাঁচা মাছ বিক্রির পৃথক সেড রয়েছে। কাঁচা তরিতরকারী বিকিকিনির পৃথক সেডও আছে।

পান বাজার সড়কে বিপুল পান ও সুপারির বিক্রেতা রয়েছে। এ সড়কের অল্প অংশে শীতল পাটির ব্যবসাও জমে। সড়কটির মাঝ পয়েন্টে কাঁচা মাছের সেডের অবস্থান। এ ছাড়া উত্তর অংশে ভ্রাম্যমান তরিতরকারীর মজুদদার। পূর্ব অংশে লাকড়ির স্তুপ। উত্তর অংশে কাঁচা তরকারীর আড়ৎ আছে।

সুত্র জানায়, বিগত ১ বছর ধরে পান বাজার সড়কটি যোগাযোগ ব্যবস্থা থেমে গেছে। বর্তমানে প্রচুর কাঁদা সড়কটিতে ভরপুর। এতে করে সড়কের দু’চেইন অংশ খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌধুরী বাজার থেকে বিপুল অর্থ সরকারী রাজস্বতে যুক্ত হয়। হাট বাজার ইজারা খাতে সরকার এ বাজার থেকে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব পান। অথচ সড়কটি বিকল হয়েছে তবে এর কোন উন্নয়ন নেই ।

পেকুয়া বাজারের সুপারী ব্যবসায়ী মেসার্স খাজা আজমীর ট্রেডিং এর মালিক আবু বক্কর জানায়, আমরা ময়লাতে জিম্মি হয়ে গেছি। পান বাজার সড়ক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আমরা দোকান খুলতে পারছি না। সামনে প্রচন্ড কাঁদা। কাঁদার ভোগান্তিতে আমরা অতিষ্ট হয়ে গেছি।

পেকুয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আক্তার আহমদ জানায়, আসলে সড়কটির অবস্থা নাজুক। আমরা কর্তৃপক্ষকে নজরদারী করাতে সক্ষম হয়েছি। দ্রুত সংষ্কার না হলে বাজারের প্রসার হ্রাস পাবে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পেকুয়ার প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, বিষয়টি আমরা ওয়াকিফহাল। পরিদর্শনে যাব। এরপর উন্নয়নের জন্য প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হবে।

Exit mobile version