parbattanews

প্রকাশিত সংবাদে জেএসএস’র ব্যাখ্যা

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পার্বত্যনিউজে প্রকাশিত একটি সংবাদের ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি জেএসএস। জেএসএস রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে,

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ অন-লাইন পত্রিকা ‘পার্বত্যনিউজ.কম’ (parbattanews.com)-এ প্রকাশিত ‘রাঙামাটিতে জেএসএস নেতাদের আওয়ামীলীগে যোগদান’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রতিবেদনটিতে ‘বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাধীন বড়থলি ইউনিয়নে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র নেতা সুজন ত্রিপুরার নেতৃত্বে ১৫ জেএসএস নেতাকর্মীসহ অর্ধ শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আওয়ামীলীগে যোগদান’ করেছেন বলে যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে সে ব্যাপারে জেএসএস’র অভিমত হচ্ছে,

‘সুজন ত্রিপুরা বা উক্ত ব্যক্তিবর্গের কেউ জনসংহতি সমিতির সদস্য ছিলেন না। বরঞ্চ তিনি গত আগস্টে (২০১৫) অনুষ্ঠিত বড়থলি ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। এমনকি সেই সময় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক জনসংহতি সমিতির ৫ জন সদস্যকে আটক ও মারধরের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে’।

 প্রতিবেদনে ‘..রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার বলেছেন,..পার্বত্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ভয়কে তোয়াক্কা না করে পাহাড়ের সাধারণ জনগণ আওয়ামীলীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।’- বলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদারের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে সে ব্যাপারে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দীপঙ্কর তালুকদারের এই বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক। বরঞ্চ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অব্যাহত গড়িমসির ফলে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আওয়ামীলীগের উপর এই জন-অসন্তোষ ও ক্ষোভকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য দীপঙ্কর তালুকদার এই উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করছেন বলে জনসংহতি সমিতি মনে করে’।

Exit mobile version