parbattanews

প্রথম তিন মাস গর্ভাবস্থায় যেভাবে কাটাবেন নারী

গর্ভাবস্থা প্রতিটি নারীর জন্যই একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টিতে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। ভাবতে হয় অনাগত শিশু ও নিজের সুস্থতা নিয়ে। জনপ্রিয় প্যারেন্টিং সাইট প্যারেন্টস.কম-এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গর্ভবতী নারী ও গর্ভের শিশুটির যেসব বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি।

জেনে নিন:

• গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এজন্য প্রথম থেকেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে

• নিয়মিত ব্লাডের সুগার, প্রেসার পরীক্ষা করতে হবে

• চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত হালকা কিছু ব্যায়াম করতে হবে

• নিয়মিত হাটাচলা, ঘরের সাধারণ কাজ করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে অতিরিক্ত কাজ, ভারী জিনিস তোলা, সিড়ি দিয়ে বেশি ওঠা-নামা করা যাবে না

• নিজের সুস্থতা ও গর্ভে থাকা শিশুর বিকাশের জন্য ভিটামিন এবং মিনারেলস বিশেষ করে ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার (পুঁইশাক, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, পেঁপে, লেবু, ব্রকলি, মটরশুঁটি, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, গাজর) নিয়মিত খেতে হবে

• এছাড়া ভাত, রুটি, দুধ, দই, মাছ, মাংস ও ডিম অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া উচিত। কখনই খালি পেটে থাকা যাবে না।

• ওজন স্বাভাবিক থাকলে গর্ভাবস্থায় ২৫ থেকে ৩৫ পাউন্ড ওজন বাড়ে। এজন্য ২ মাস পরপর ওজন মাপতে হবে

• গর্ভাবস্থায় নিজেকে ও ব্যবহারের পোশাক, বিছানা, বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে

• গর্ভবতী নারীদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। সঙ্গে দিনের যেকোনো সময় একঘণ্টা বিশ্রাম

• অতিরিক্ত চিন্তা বা উত্তেজনা এসময় মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়, তাই এমন কিছু করতে হবে যেন সব সময় মন ভালো থাকে

• পরিবারের অনেক বড় একটা ভূমিকা রয়েছে গর্ভবতী ও গর্ভের শিশুর ভালো থাকায়। নারীদের শরীরে নানা রকম পরিবর্তন হয়। এগুলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে সাহায্য প্রয়োজন পরিবারের কাছ থেকে।

ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে এসময় কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। এটা কোনো অসুস্থতা নয়, গর্ভাবস্থায় সুস্থ থেকে পুরো সময়টা উপভোগ করুন।

Exit mobile version