parbattanews

প্রদীপসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে একদিনে দুই মামলা

নূর মোহাম্মদ ও মোঃ আজিজ নামের দুই ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে একদিনে আরো দুটি মামলা হয়েছে।  নিহত নুর মোহাম্মদ টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার বাসিন্দা এবং মোঃ আজিজ একই ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ – ৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এই দুই মামলা করা হয়।

নিহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম ও মোঃ আজিজের মা হালিমা খাতুন বাদি হয়ে এই দুই মামলা করেন। বাদি পক্ষের আইনজীবি নূরুল হোছাইন নাহিদ ও এডভোকেট মোস্তাক আহমদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

দুটি মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

নিহত নূর মোহাম্মদের মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৯ মার্চ বীজ ও স্যার আনতে কৃষি অফিস থেকে কৃষি সরঞ্জাম ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তার পরিবারর থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে মারা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

তাই বাধ্য হয়ে বিভিন্নভাবে যোগাড় করে পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু ২১ মার্চ রাতে স্ত্রী লায়লা বেগম নুর মোহাম্মদকে থানা থেকে বের করে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রাজারছড়া এলাকায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে নুর মোহাম্মদকে কয়েকজন পুলিশ তুলে ঝাউবাগানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

অন্যদিকে নিহত মোঃ আজিজের মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর টেকনাফ থানার একদল পুলিশ মোঃ আজিজ, নুর হাসান ও আবুল খায়ের নামের তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে মোঃ আজিজের পরিবার থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি ওসি প্রদীপসহ অন্যরা। না দিলে আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে হুমকি দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে বিভিন্নভাবে ৫০ হাজার টাকা পুলিশকে দেয় আজিজের পরিবার। ১৯ অক্টোবর রাতে মহেশখালীয়াপাড়া নদীঘাট এলাকায় আজিজকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়।

বাদি পক্ষের আইনজীবিরা জানান, ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য কোন মামলা আছে কিনা ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন এবং আগামী ৪ নভেম্বর পরবর্তি শুনানীর দিন ধার্য করেন।

Exit mobile version