হরতাল-অবরোধের মধ্য দিয়ে সমাবেশে যোগদান নিয়ে শঙ্কিত রামগড়বাসী

রামগড় প্রতিনিধি, পার্বত্যনিউজ :

আগামী ১১ই নভেম্বর পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যেই জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সফরকালে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়াও ঐতিহাসিক খাগড়াছড়ি ষ্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ১৮ দলীয় জোটের টানা ৮৪ ঘন্টা হরতালের পাশাপাশি প্রধামন্ত্রীর আগমনের দিন সোমবার খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের কর্মসুচী ঘোষনা করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ-পিসিপি। বিরোধী দলের হরতালের পাশাপাশি পিসিপির ডাকা সোমবারের অবরোধের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগদানকারীসহ রামগড়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের রামগড় সদর হইতে জালিয়া পাড়া এলাকা পর্যন্ত পিসিপি’র পূর্বের কর্মসূচীগুলোতে তাদের তৎপরতা চিল হিংসাত্বক ও নাশকতামুলক। তাই সমাবেশে যোগদানের গাড়ি বহরে পিসিপির পিকেটারদের হামলার আশঙ্কা করছে অনেকেই।

রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান এ প্রতিবেদককে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাগড়াছড়ি আগমন উপলক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী ও অংগ সংগঠনের প্রায় শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে সমাবেশে যোগ দেবেন। অবরোধ ও হরতালের বিষয়ে জনতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফর সেখানে সকল প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে রামগড় বাসী সমাবেশে যোগদান করবেন। এ দিকে বিএনপির হরতাল ও প্রধামন্ত্রীর সমাবেশ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হাফছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: আবু বক্কর জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে রোববার হাফছড়ি ইউনিয়ন এলাকায় হরতাল পালিত হবে শান্তিপূর্ণভাবে। তিনি আরো বলেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে পিকেটিং না করতে অনুরোধ করার পরিপেক্ষিতে আমরা স্থানীয়ভাবে রোববার ও সোমবার সকল নেতাকর্মীদের পিকেটিং না করার নির্দেশ দিয়েছি। তবে তিনি বলেন এদিন যদি কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটার জন্ম হয় তাহলে স্থানীয় বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোট দায়ী থাকবেনা।

যোগাযোগ করা হলে, রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ মো: জোবায়ের আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে রামগড় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের গাড়ি বহর যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে এ বিষয়ে বিজিবির সাথে আলোচনা করা হয়েছে। রামগড় এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের টহল ও নজরদারী বৃদ্বি করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন