প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি মিললে আজ কক্সবাজারে “ঈদগাঁও” নামের নতুন উপজেলার ঘোষণা

fec-image

কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে “ঈদগাঁও” নামক একটি স্বতন্ত্র উপজেলা বাস্তবায়নের দাবি উঠেছে কয়েক দশক পূর্ব থেকে। অনেক কাঠগড় পেরিয়ে অবশেষে আজ (২৬ জুলাই) পৃথক ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়নের ঘোষণা আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ অনুষ্ঠিতব্য প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র (নিকার) ভার্চুয়াল সভায় ঈদগাঁও’কে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে বাস্তবায়নে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী’র সদয় অনুমোদন মিললে বর্তমান কক্সবাজার সদর উপজেলার আওতাধীন পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে “ঈদগাঁও” নামের নতুন আরেকটি উপজেলার যাত্রা শুরু হবে কক্সবাজার জেলায়।

ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ ও সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নুরুল আজিম জানান, আজ (২৬ জুলাই ) ঈদগাঁও’কে উপজেলা হিসেবে ঘোষণার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার সদর উপজেলার আওতাভুক্ত পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে ঈদগাঁও নামের নতুন উপজেলা বাস্তবায়নকল্পে বিগত ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবর ০৫.২০.২২০০.২২২৪.০২.০৫.২০১৯ স্মারকমূলে প্রস্তাবের প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে তখনকার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বিগত ৩০ জুলাই ২০১৯ তারিখে ০৫.২০.২২০০.১২৬.০০৪.০১১.২০১৯-৩৯৮ স্মারকমূলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। বিভাগীয় কমিশনার বিগত ৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ০৫.৪২.০০০০.০৪১.০৭.০১২.১৯-৪০৭ স্মারকমূলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঈদগাঁও’র কৃতিসন্তান হেলাল উদ্দীন আহমদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঈদগাঁওকে উপজেলা বাস্তবায়নের যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করে বিগত ২২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ৪৬.০৪৬.০১৮.০০.০০.০৬৮.২০১৯-৬৭৪ স্মারকমূলে মন্ত্রী পরিষদ সচিব বরাবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়। যা পরবর্তী প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। করোনা মহামারীর কারণে গত দেড় বছরে নিকার’র কোন সভা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।

উপজেলা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব লে. কর্নেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ জানান, প্রস্তাবিত ঈদগাঁও উপজেলা বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবায়ন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নুরুল আজিমের অবদান অনস্বীকার্য। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ঈদগাঁওবাসী তার নিকট ঋণী হয়ে থাকবে।

তিনি স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদের ভূমিকাকে অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে বলেন, হেলাল উদ্দীন আহমদ না থাকলে ঈদগাঁওবাসীর উপজেলার স্বপ্ন দিবা স্বপ্নই থেকে যেত। তার অকৃত্রিম আন্তরিকতার কারণেই কক্সবাজারে ঈদগাঁও নামের নতুন আরেকটি উপজেলা বাস্তবায়ন আর স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তবতা।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সাবেক সাংসদ ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বেগম কানিজ ফাতেমা আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার কক্সবাজার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও এতে জড়িত সকলের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন