parbattanews

প্রশান্তির ছোঁয়া নিতে পানছড়ির রাবার ড্যামে উপচে পড়া দর্শনার্থী

ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ শেষ হতে না না হতেই শেষ হলো পাহাড়ের প্রধান উৎসব বৈ-সা-বি। ইদ আনন্দ ও বৈ-সা-বি’র আনন্দ উপভোগে আপনালয়ে ছুটে এসেছে এলাকার চাকুরিজীবী, শ্রমজীবী, ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে–য়ারা। প্রচণ্ড দাবদাহে আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়লেও সরগরম হয়ে উঠেছে পানছড়ি শান্তিপুর এলাকার দৃষ্টিনন্দন রাবার ড্যাম এলাকা। ইদ আর বৈ-সা-বি উৎসবের প্রাণ যেন এই ড্যাম এলাকা। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জমজমাট হয়ে উঠে দর্শনার্থীর পদচারণায়। দুর-দূরান্তের দর্শনার্থীরা ড্যামের সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে আসলেও স্থানীয়রা ছুটে যাচ্ছে ড্যামের স্বচ্ছ আর ঠান্ডা পানিতে প্রশান্তির ছোঁয়া নিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড দাবদাহে নিজেদের প্রশান্তির ছোঁয়া নেয়ার পাশাপাশি ড্যামের উপর নেচে-গেয়ে উপভোগ করছে পানির ঝরার কল কল শব্দ। কেউ কেউ নিজেদের মনের মতো গাইছে যার যার পছন্দের গান। মাটিরাঙা উপজেলা থেকে আসা দিদার ও দুলাল জানান, তিনটি মোটর সাইকেলে পরিবারের প্রায় ছয়জন সদস্য রাবার ড্যামের সৌন্দর্য ঘুরতে এসেছি। স্বচ্ছ পানিতে ছোট ছোট মাছ, শিশু কিশোরদের দুরন্তপনা আর পানির কল কল শব্দ দারুণভাবে উপভোগ করেছি। আবারো বন্ধুবান্ধব নিয়ে আসার কথা জানালেন তারা।

ঢাকা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী মাহিম জানান, মা-বাবা, ছোট ভাই ও আংকেলসহ রাবার ড্যাম উপভোগে এসেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা চেংগী নদী ও ড্যামের উপর কোমলমতিদের নাচানাচি অনেক ভালো লেগেছে। ঝর্ণার পানিতে ভিজে নিজেও দারুণ উপভোগ করেছে বলে জানায় সে।

২০১৩ সালে পানছড়ি শান্তিপুর এলাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় রাবার ড্যাম। বর্তমানে ড্যামটি জেলার একটি উল্লেখযোগ্য বিনোদন কেন্দ্রের মাঝে একটি।

Exit mobile version