parbattanews

প্রশাসনের মধ্যস্থতায় নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে যান চলাচল শুরু

Naikhongchari Sodk copy
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাক দেওয়ার পর রবিবার বিকালে সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে। রোববার (০৩ মে) বিকালে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানা প্রশাসনের মধ্যকার বৈঠকে জনদুর্ভোগের কারণে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে দুই শ্রমিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর বিরাজমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি চোচু মং মারমা।

তিনি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার দুটি শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যকার বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে নাইক্ষ্যংছড়ির সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। যার কারণে প্রশাসনিক বৈঠকে পরিবহন শ্রমিকদের সাথে সমঝোতার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মাহাবুবুল করিম, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের, রামু থানা অফিসার ইনচার্জ সাইকুল আহমদ ভূইয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি চোচু মং মারমা।

উল্লেখ্য, রামু শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং- ১৪৯১) নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে তাদের অধীনে পরিবহন চলাচল করে আসছিল দীর্ঘকাল ধরে। সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ির মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ (রেজি: নং- বি-২০৪৪) নামে শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: লাভ করে। ১ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বাস স্টেশনের কর্তৃত্ব নেয়। এর পর থেকে শুরু হয় পার্শ্ববর্তী দুই উপজেলার দুটি শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা।

যার কারণে শনিবার রামু পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমানা এলাকায় কোন প্রকার যানবাহন প্রবেশ করেনি এবং নাইক্ষ্যংছড়ির কোন পরিবহনও রামু উপজেলা সীমানা এলাকায় যায়নি। এরপর আজ রবিবার রামু পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে নাইক্ষ্যছড়ি-রামু সড়কে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

জনদুর্ভোগের এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক দুই থানা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠকের পর রামু পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট প্রত্যাহার করলে রবিবার সন্ধ্যা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে পুনরায় যানচলাচল শুরু হয়েছে।

তবে বাস স্টেশনের কর্তৃত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মাঝে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।

Exit mobile version