প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ঐতিহ্য হারাচ্ছে দীঘিনালার দীঘি

Dighinala Lake Pic3 copy
দিদারুল আলম রাফি:
দীঘির নামে নামকরণ হয়েছে বর্তমান দীঘিনালা উপজেলা। কালের আবর্তনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আর রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য ও দীঘিনালার আদি ঐতিহ্য। দীঘিটি চাকমা চীফ সার্কেলের মালিকানাধীনা হলেও এর সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য রক্ষার্থে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

আয়তনের দিক থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সর্ববৃহৎ উপজেলা হিসেবে খ্যাত দীঘিনালার বরাদম এলাকায় ১৬৬৭ খ্রীষ্টাব্দে ত্রিপুরা বনবাসি মহারাজা গোবিন্দ মাণিক্য কর্তৃক খনিত হয় এই দীঘি। তার নির্দেশেই রাতারাতি ১২টি দীঘি খনন করা হয়। বর্তমানে দীঘিনালার এই ঐতিহ্যবাহী দীঘির সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষনের কোন উদ্যোগ না থাকায় হারাচ্ছে তার নিজস্ব সৌন্দর্য এবং দীঘিনালার আদি ঐতিহ্য।

সরেজমিনে ঘুরে বোঝার উপায় নেই এই দীঘি’ই দীঘিনালার ঐতিহ্যবাহী দীঘি। এর আশপাশে ভরে আছে ঝোপজঙ্গলে। সামান্য সংস্কারের উদ্যোগ নিলেই দীঘিটি হয়ে উঠতে পারে স্থানীয় ও আগত পর্যটকদের নিকট দর্শনীয় স্থান।

এব্যপারে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা দীঘির অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে ত্রিপুরা মহারাজা গোবিন্দ মাণিক্য সংসার ছাড়ার পর এ অঞ্চলে কিছুদিন বসবাস করেছিলেন। তখন তার সফরসঙ্গিসহ স্থানীয়দের পানির ব্যবস্থা করতেই এই দীঘি খনন করা হয়। বর্তমানে এর সংস্কার করা জরুরী। তবে শীগ্রই তিনি এর সংস্কারে উদ্যোগী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তাছাড়া দীঘির পাড়ে একটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন