Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হলো না টাইগার যুবাদের

46391454671098_bd-under

ক্রীড়া ডেস্ক:

স্বপ্নের ফাইনালে খেলা হল না বাংলাদেশের। যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি পর্ব সেরেছিল, সেই দলটির কাছেই বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে স্বপ্ন ভঙ্গ হল মেহেদি হাসান মিরাজ বাহিনীর। পক্ষান্তরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটের জয়ে এক যুগ পর যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ক্যারিবীয় যুবারা। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভারে ২২৬ রান করে অলআউট হয়। জবাবে স্প্রিঙ্গার ও হেটমায়ারের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে।

এমন গোমট আবহাওয়ায় সাজ-সকালে টস জিতেও ব্যাটিং নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে তাই কিছুটা প্রশ্ন থাকছেই। এরপরও প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলাটাই এখন বাংলাদেশের বড় অর্জন হিসেবে লেখা থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেছিল বাংলাদেশ। কোয়ার্টারে নেপালকে হারিয়ে অপরাজিত হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে লাল-সবুজের দল। গ্রুপপর্ব ও সেমিফাইনালে সাফল্যই বাংলাদেশের প্রত্যাশার পারদটা উপরে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সেমিফাইনালের ব্যর্থতায় সেই প্রত্যাশা এবার আর পূরণ হল না।

ফাইনালে পা রাখতে ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম কয়েক ওভারেই অনেক রান তুলে নেয়। পাঁচ ওভারে ৪৪ রান হওয়ার পর প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এরপর দলীয় ৫৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকেই সাজঘরে ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। পরে কিসি কার্টিকে শাওন এবং অধিনায়ক হেটমেয়ারকে সাইফুদ্দিন ফেরান। তবে চার উইকেট পতন সত্ত্বেও ক্যারিবীয় যুবারা জয়ের সহজ পথেই হাঁটছিল। তবে ৩৮তম ওভারে হঠাৎই শাওনের জোড়া আঘাতে আশা জাগতে থাকে বাংলাদেশের। শেষ দিকে সাইফুদ্দিনের বলে মাইকেল ফ্রিও (১২) আউট হলেও সেই আশা আলোর মুখ দেখেনি।

ইমলাচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। এ ছাড়া দ্রুততার সঙ্গে রান তুলে ২৫ বলে ৩৮ রান করা আরেক ওপেনার গিরডন পপকে ফেরান বোল্ড করেন। শাওনের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন কার্টি। সবশেষ ৬০ রান করা হেটমেয়ারকে নিজের বলে সাইফের ক্যাচে পরিণত করেন সাইফুদ্দিন। ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে শাওন সাজঘরে পাঠান জাইদ গুলি ও কিমো পলকে।

এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভর করে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট  ইন্ডিজের বিপক্ষে ২২৬ রান করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। মাত্র ১১৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরে যুব টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয় যুবাদের ২২৭  রানের জয়ের লক্ষ্য বেধে দেয় স্বাগতিকরা।

বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যুব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলনেতা মিরাজ। তবে কুয়াশায় ঘেরা মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মাত্র ২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার পিনাক ঘোষকে হারায় যুব টাইগাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে হোল্ডারের বলে রানের খাতা খোলার আগেই পলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাইফ হাসান সাজঘরে ফেরেন। আলজারি জোসেফের বলে গুলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

তাদের পথ ধরেই হেটেছেন দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান জয়রাজ শেখ, নাজমুল হাসান শান্ত ও জাকির হাসান। দলীয় ৫৮ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যক্তিগত ১১ রানে আউট হন। জনের বলে হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। আর দলীয় ৮৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ৩৫ রান করা জয়রাজ। সবশেষ ২৮তম ওভারে দলীয় ১১৩ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জাকির। স্প্রিঙ্গারের বলে জয়রাজ ও হোল্ডারের বলে জাকির বোল্ড হন।

এরপর পঞ্চম উইকেট উইকেট জুটিতে এখন ব্যাট করছেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। অধিনায়ক মিরাজ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। এই জুটিরও ৮৫ রানে ভর করেই মোটামুটি লড়াকু স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ। মিরাজ ৭৪ বল থেকে সাত চারের মারে করেন ৬০ রান। সঙ্গী সাইফুদ্দিন ৫৫ বলে তিন চারের মারে করেন ৩৬ রান।

দলীয় ১৯৮ রানে গুরুত্বপূর্ণ এই জুটি ভাঙে। পরে নির্ধারিত ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২২৬ রান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টাইগার, ফাইনালের, যুবাদের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন