ফারুকের স্বপ্নের অটো রিকসায় দুর্বৃত্তের আগুন!

fec-image

দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে গেছে রামগড় পৌর এলাকা ইসলামপুরের বিদেশ ফেরৎ মো. ফারুকের(৩২) স্বপ্নের অটো রিকসা। রবিবার গভীর রাতে সংঘটিত এমন শত্রুতার ঘটনা ফারুককে করেছে দিশেহারা, এলাকাবাসি হয়েছেন হতবাক।

অন্যান্য দিনের মত রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সারাদিন যাত্রী বহনের পর রাতে নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে রাখা হয় সিএনজি চালিত অটো রিকসাটি। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্ত এসে আগুন দেয় তার অটো রিকসায়। হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে স্বপ্নের অটো রিকসাটি আগুনের লেরিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। পরিবরের সবাই মিলে প্রাণপণে চেষ্টা করেও রক্ষা করা যায়নি । নিমিষেই পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায় সিএনজি গ্যাস চালিত অটো রিকসাটি। আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে এ অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যায়।

গত ১৮ জুন ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা এবং মাসিক ১৫ হাজার টাকা কি্স্তিতে তিন লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের এ অটো রিকসাটি কিনেন ফারুক। এমন জঘণ্য শত্রুতার শিকার ফারুক পরিবারের ভরনপোষন এবং কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন কিভাবে এ চিন্তায় এখন দিশেহারা।

তিনি জানান, ২০১৬ সালে কুয়েতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে শূণ্য হাতে দেশে ফিরে আসেন ২০২০- এ। আরেক ভাইও একইভাবে প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী সব মিলিয়ে ৮-৯ সদস্যের পরিবারের ভরনপোষনের জন্য অটো রিকসাটি কিনে নিজেই চালাতেন।

তিনি আরও জানালেন, পৌরসভার স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর মো. দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়ে এবং ৩০ হাজার টাকা অন্যভাবে জোগাড় করে তিনি অটো রিকসাটি কিনেছিলেন।। এখন পরিবারের ভরনপোষন চলবে কিভাবে আর অটো রিকসার কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন কিভাবে এ দুশ্চিন্তায় তিনি এখন দিশেহারা।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ বিদেশ থেকে প্রতারিত হয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফেরার পর আমার পরামর্শে সে অটো রিকসাটি কিনে। টাকা দিয়েও সহায়তা করেছিলাম। অটো রিকসাটি কিনে সে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তার এ স্বপ্নকে পুড়ে ভস্মিভুত করেছে দুর্বৃত্তরা’ তিনি এ জঘণ্য ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন তদন্ত চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন