parbattanews

ফিলিপাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে তাজিকিস্তান


কক্সবাজার প্রতিনিধি:

সিলেটের গ্রুপ পর্ব শেষে কক্সবাজারের সেমিফাইনাল পর্বে ফিলিপাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তাজিকিস্তান।

কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে ২-০ গোলে জিতে খেলায় নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফিলিপাইনকে হারিয়েছে তাজিকিস্তান। আর এই ইতিহাস গড়েই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তাজিকরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই ফিলিপাইনের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে তাজিকিস্তান। ম্যাচের ২৫ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল তাজিকরা। নাজারভ আখতামের শট গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভের ফলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি তাদের। তবে ৩১ মিনিটে তাজিকদের এগিয়ে যাওয়া আর থামাতে পারেনি ফিলিপাইন। জন রাহিমোভের হেড থেকে আসা বলে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন তুরসুনোভ। অবশ্য দুই মিনিট পর সুযোগ পেয়েও সমতায় ফেরা হয়নি ফিলিপিন্সের। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তাজিকিস্তান।

যখন দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ের খেলা প্রায় শেষ তখনও স্কোর লাইন ১-০ সবাই যখন ভেবেছিল এতেই খেলার ফলাফল নির্ধারণ হচ্ছে, ঠিক তখনই আবার ব্যবধান দ্বিগুন করে তাজিকরা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ফাতখুল্লোর প্লেসিংয়ের দূর পাল্লার জোরালো শট ফিলিপাইনের জালে জড়ালে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাজিকিস্তানের। সেই সঙ্গে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গাও করে নিলো তাজিকিস্তান। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে তথা (৯০+৭) মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে তাজিকিস্তান। গোলটি করেন আক্সটাম নাজারভ। বাকি সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তাজিকিস্তান।

খেলায় ম্যান অব দ্যা নির্বাচিত হন ৯ নাম্বার জার্সিধারি খেলোয়াড় গোলদাতা তুরসুনোভ।  ১০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। কক্সবাজারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়। আগামী ১২ অক্টোবর টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। এখন দেখার অপেক্ষা ফাইনালে তাজিকিস্তানের সঙ্গী কে হয়।

এর আগে সকাল থেকে রিমঝিম বৃষ্টি। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ক্রীড়ামোদীদের আশা ছিল মাঠভর্তি দর্শক আর ফিলিফাইন ও তাজিকিস্তানের শৈল্পিক ফুটবল খেলা উপভোগ করা। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াই বৃষ্টি। দুপুর আড়াইটার আগেই বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে। যেন থমকে ছিল দর্শকের উপস্থিতি। পরে খেলা শুরুর সাথে সাথেই বাদভাঙা জোয়ারের মত দর্শক সমাগম ঘটে। অবশ্য প্রায় দর্শকই ছাতা নিয়ে গ্যালারীতে দাঁড়িয়ে খেলা উপভোগ করেন। দর্শক ও কক্সবাজারের ক্রীড়াবিদদের দাবি-এরকম প্রতিবছর যেন আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট পর্যটন নগরীতে আয়োজন হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ২০১২ সালে বসেছিল মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়ন। ছেলেদের জাতীয় দলের ম্যাচ এই প্রথম। তাই এই ম্যাচের অংশ হতে গ্যালারিতে দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো। বৃষ্টি না হলে দর্শকের ব্যাপক উপস্থিতি হতো বলে জানান কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ুয়া অপু।

Exit mobile version