parbattanews

ফেনী নদীতে ৮ কি.মি. তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে নৌ বাহিনী

১৯ প্রকল্পে ৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ, পাউবো’র ফেনী নদীতে ৮ কি.মি. তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে নৌ বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামগড়:

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রায় আট কিলোমিটার এলাকায় তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) প্রায় ৯৭ কোটি টাকার ১৯টি তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের এ কাজ করছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ফেনী নদীর মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও  চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি অংশে এ ১৯টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে । প্রকল্পগুলো  বাংলাদেশ ভারত যৌথ নদী কমিশনের(জেআরসি) অনুমোদনের পরই বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড । ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রকল্পর বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার কথা।

জানাযায়, এতদিন সাধারণ ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ফেনী নদীতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করাতো পাউবো। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগ ও কাজের মান নিয়ে প্রতিবারই নানা অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় ফেনী নদীসহ দেশের সীমান্ত নদীগুলোতে তীর সংরক্ষণ কাজের প্রকল্প নৌবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ নিয়ে নৌ বাহিনীর সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়।

পাউবোর খাগড়াছড়ির উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এম. নূরুল আফসার আজাদ জানান, যৌথ নদী কমিশনের অনুমোদনের পর ফেনী নদীতে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু  প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিলম্ব হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। গত বৃস্পতিবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) রামগড়ের সীমান্তবর্তী মন্দিরঘাট এলাকায় প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময়  প্রকল্প ব্যবস্থাপক নৌ বাহিনীর প্রকৌশলী  গোলাম মোস্তফা খাঁন এবং পাউবোর দুই এসও নিখিল চাকমা ও দীবাংশু চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ১৯টি প্রকল্পের মধ্যে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তবর্তী তাইন্দং, আমতলী, দেওয়ানবাজার, করল্যাছড়ি, শান্তিপুর, অযোদ্ধা ও লক্ষ্মীছড়া এলাকায় ১০টি, রামগড়ের কলসীমুখ, কাশিবাড়ি,  মন্দিরঘাট, বল্টুরামটিলা ও মহামুনি এলাকায় ৫টি এবং ফটিকছড়ির আধাঁরমানিক, পনুয়াছড়া ও কয়লারমুখ এলাকায় ৪টি।

সূত্র জানায়,  ফেনী নদীর মাটিরাঙ্গা অংশের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিস্তৃর্ণ ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ভাঙ্গনে ওই এলাকায় সীমান্ত পিলারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের ভূখন্ড রক্ষার জন্য গুরুত্ব বিবেচনা করে মাটিরাঙ্গা এলাকায় অধিক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তীর সংরক্ষণের কাজ দ্রুত শেষ করা গেলে নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন রোধ হবে।

এদিকে, নৌ বাহিনীর মাধ্যমে এ প্রথমবার ফেনী নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রামগড় পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান(কাজী রিপন)। তিনি বলেন, নৌ বাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় তীর সংরক্ষণের এ কাজ হবে মজবুত ও টেকসই। নদীর তীরাঞ্চলের বাসিন্দারাও সরকারের এ পদক্ষেপে আস্থা ও স্বস্তি প্রকাশ করেছে।

Exit mobile version