parbattanews

ফেল করলেন জয়া চাকমা

ফাইল ছবি

জয়া চাকমা ও সালমা আক্তার এএফসি এলিট রেফারি প্যানেলে যাওয়ার জন্য ফিটনেস পরীক্ষা দিচ্ছেন। সালমা বুধবার (১৮ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে ভারতের জামশেদপুরে অনুষ্ঠিত ফিটনেস পরীক্ষায় জয়া চাকমা ফেল করেছেন। জয়া উচ্চ শিক্ষায় ভারত আছেন। বাফুফের অনুরোধে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন ভারতের জামশেদপুরে জয়ার পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।

ফিটনেস টেস্টে জয়া উত্তীর্ণ না হতে পারায় এএফসি এলিট প্যানেলে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হলো। এই প্রসঙ্গে বাফুফে হেড অফ রেফারিজ আজাদ রহমান বলেন, ‘তাত্ত্বিক পরীক্ষায় জয়া ও সালমা দুজনেই ভালো করেছিল। অপেক্ষা ছিল ফিটনেস পরীক্ষার। সালমা ফিটনেসে পাশ করলেও জয়া ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে জয়া এএফসি এলিটে থাকতে পারছেন না।’ জয়া রেফারি ও সালমা সহকারি রেফারি। জয়া এলিটে থাকতে পারলে সহকারি রেফারির ম্যাচ বরাদ্দও বাড়ত। এখন যদি শুধু সালমা এলিটে শেষ পর্যন্ত এএফসির স্বীকৃতি পান তাহলে কত ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পান দেখার বিষয়।

নারী রেফারির ফিটনেস টেস্ট দুই পর্বের। প্রথম পর্বে ৪০ মিটার স্প্রিন্ট ৬ বার। এই পর্বে জয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্প্রিন্ট সম্পন্ন করেন। এই পর্ব শেষ হওয়ার আট মিনিটের মধ্যে শুরু হয় ল্যাপ (চক্কর)। ফিফা রেফারিতে উত্তীর্ণ হতে ১০ চক্কর বাধ্যতামূলক আর এএফসি এলিটে যেতে হলে দশের অধিক। জয়া ন্যূনতম দশটি চক্করই সম্পন্ন করতে পারেননি।

আজকের ফিটনেস টেস্টে জয়া উত্তীর্ণ হলে এএফসি এলিটের পাশাপাশি আগামী বছর ফিফা রেফারির জন্য বিবেচিত হতেন। ব্যর্থ হওয়ায় এখন আবার ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য।

জয়ার ফিফা রেফারি ফিটনেস পরীক্ষা নিয়ে আজাদ রহমান বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিফা ফিটনেস টেস্ট সম্পন্ন করতে হবে। এই পরীক্ষা জয়াকে বাংলাদেশে এসে দিতে হবে।’ এই ফিটনেস টেস্টেও ব্যর্থ হলে ফিফা রেফারির স্বীকৃতি হারাবেন বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবল রেফারি।

ভারতের বেনারসে জয়া ফিজিক্যাল এডুকেশন নিয়ে উচ্চ শিক্ষায় রয়েছেন। কয়েক মাস গেম পরিচালনা ও অনুশীলনের বাইরে থাকায় ফিটনেসে ঘাটতি হয়েছে জয়ার। এএফসি এলিটে ব্যর্থ হলেও আগামী এক মাসের মধ্যে উন্নতি করে ফিফা ব্যাজ ধরে রাখতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

Exit mobile version