parbattanews

ফোর্বসের সেরা উদ্যোক্তাদের তালিকায় ৭ বাংলাদেশি

করোনার পর বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতিতে সংকট দেখা দেয়। স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগও কমে যায়। এতে গত বছর বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়েন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তারা। কিন্তু কঠিন বাধাও তাঁদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা রুখতে পারেনি।

শত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও এশিয়ার অনেক তরুণ উদ্যোক্তা এগিয়ে গেছেন দুর্বার গতিতে। ৩০ বছরের কম বয়সী এসব তরুণদের মধ্য থেকে সেরাদের বেছে নিয়েছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। প্রখ্যাত এই সাময়িকীর ওয়েবসাইটে গত বুধবার প্রকাশিত সেই তালিকায় রয়েছেন সাত বাংলাদেশিও।

কনজ্যুমার টেকনোলজিতে (ভোক্তা প্রযুক্তি) জায়গা করে নিয়েছেন আজিজ রহমান ও দীপ্ত সাহা। মিডিয়া, মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভারটাইজিং (গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন) ক্যাটাগরিতে রুবাইয়াত ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন। সোশ্যাল ইমপ্যাক্টে (সামাজিক প্রভাব) জাহ্নবী রহমান, আনোয়ার সায়েফ এবং সারাবন তহুরা এ সম্মান অর্জন করেছেন।

আজিজ রহমান (ভোক্তা প্রযুক্তি)
প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের যানজট নির্মূলের লক্ষ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যাত্রী প্রতিষ্ঠা করেছেন আজিজ। তাঁর উদ্ভাবিত যাত্রী প্রতিষ্ঠানের ই-টিকিটিং সিস্টেম ব্যবহার করে রাজধানীতে ৫ হাজার ৬৫০টি বাস চলাচল করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বাস মালিক সমিতি।

দীপ্ত সাহা (সহপ্রতিষ্ঠাতা, অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজিস)
কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি গ্রাহকের কাছে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে কাজ করে কৃষিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম অ্যাগ্রো শিফট টেকনোলজিস। এর মাধ্যমে কৃষক তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেয়ে থাকেন। দীপ্ত সাহা গত বছর চালু হওয়া প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)।

রুবাইয়াত ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন (প্রতিষ্ঠাতা, মার্কোপলো ডট এআই)
মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল মার্কেটিং পরিষেবা দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মার্কোপলো ডট এআই। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে সহজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কেটিং করা সম্ভব হচ্ছে।

জাহ্নবী রহমান (সহপ্রতিষ্ঠাতা, রিলাক্সি)
রিলাক্সি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে মানসিক চিকিৎসা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সংস্থাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক সেবা ফ্রি পাওয়া যায়।

আনোয়ার সায়েফ ও সারাবন তহুরা (প্রতিষ্ঠাতা, টার্টল ভেঞ্চার)
স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তা, পরামর্শ, বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং কৌশলগত সহায়তা দিয়ে থাকে টার্টল। বাংলাদেশে এ ধরনের সেবা দেওয়া প্রথম প্রতিষ্ঠান এটি। ২০০৮ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯০ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে টার্টল।

Exit mobile version