parbattanews

‘বকেয়া টাকা চাওয়ায়’ মুদি দোকানিকে মারধরের অভিযোগ

ছবি: আহত মুদি দোকানি সাইফুল ইসলাম বাদল

কক্সবাজার রামুতে দোকানের বকেয়া টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার সাইফুল ইসলাম বাদল (৪৫) রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামের নজিবুল আলমের ছেলে। এ ঘটনায় তিনি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞ আদালতে দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ির পাশে সাইফুল ইসলাম বাদলের চায়ের ও মুদির দোকান রয়েছে। সোমবার ভোরে দোকান খোলার সময় বকেয়া টাকা চাওয়ায় তার সাথে একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জহির আলমের কথা কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে জহির আলম ও তার ভাই রবি আলম, মৃত জেবর মল্লুকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, সুরত আলমের ছেলে কাইসার উদ্দিন, মৃত আবুল মনছুরের ছেলে মাহমুদুল হক ও গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী তাহেরা বেগম দেশীয় অস্ত্র ও লাটি-সোটা নিয়ে সাইফুল ইসলামের দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায়।

হামলাকারীরা দোকানি সাইফুল ইসলাম বাদলকে লোহার রড ও লাটি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে দোকান ভাঙচুর ও লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে হামলাকারীরা সটকে পড়ে। স্থানীয়রা মূমূর্ষু অবস্থায় সাইফুল ইসলাম বাদলকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে এক্স-রে করার পর হাঁড়ভাঙ্গার জখম গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

গুরতর আহত সাইফুল ইসলাম বাদলের ছোট ভাই শওকত আলম জানান, হামলাকারীদের বেপরোয়া মারধরে সাইফুল ইসলামের পিঠের হাঁড় ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্নস্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা মারধরের ঘটনা আড়াল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কুচক্রী মহলের সহায়তায় উল্টো তার ভাই ও তাকে (শওকত) গরু চোর সাজিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া থানা বা কোর্টে মামলা করলে হামলাকারী তাহেরা বেগম মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করারও হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ সিআর মামলা দায়ের করেছেন হামলায় গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম বাদল। বিজ্ঞ আদালত রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Exit mobile version