বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস ২০২০-এ পদক অর্জনকারীদের বান্দরবান সেনা রিজিয়নের সম্মাননা প্রদান
জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়ার নির্দেশে বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস এর পদক অর্জনকারী খেলোয়াড়দের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (১০অক্টোবর) সকাল ১১টায় বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সম্মাননা প্রদান করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ক্য শৈ হ্লা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বান্দরবান ও রুমা জোন কমান্ডারসহ অন্যান্য সেনাকর্মকর্তা এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস- ২০২০ গত ১ এপ্রিল ২০২১ তারিখ হতে ১১ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত দেশের সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুতে আয়োজন করা হয়। ভার্চুয়াল মঞ্চে বর্ণিল আয়োজনের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে ৩১টি ডিসিপ্লিনের ১২৭১টি পদকের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৫৩০০ ক্রীড়াবিদ তাদের ক্রীড়া নৈপূণ্য প্রদর্শন করেন।
বান্দরবান জেলার গর্বিত খেলোয়াড়গণ ৭টি স্বর্ণ ৫টি রৌপ্য এবং ২১টি ব্রোঞ্জসহ সর্বমোট ৩৩টি পদক অর্জন করতে সক্ষম হন। সম্মানা অনুষ্ঠানে বিজয় অর্জনকারী, কোচ ও ম্যানেজারসহ সর্বমোট ৩৮ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি বলেন, বান্দরবান জেলার এ অভূতপূর্ব সাফল্যে সমগ্র বান্দরবানবাসী গর্বিত ও আনন্দে উদ্বেলিত। পূর্বে থেকেই পাহাড় অরণ্যে ঘেরা এই বান্দরবান জেলা বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পর্যায়ে অনেক ইভেন্টে সম্মানজনক ফলাফল অর্জন করে। এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায় ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বান্দরবান জেলার প্রতিযোগীরা সুনাম অর্জন করেছে। আমাদের পার্বত্য মন্ত্রী খেলোয়াড়দের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক, যা খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিশেষ পাওয়া। খেলোয়াড়রা যেমন খেলার মাধ্যমে নিজেদের অঞ্চলের সুনাম অর্জন করেছেন, তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে সকলের সক্রীয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করায় অবদান রাখতে হবে। কারণ আপনাদের এবং আপনাদের ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে সন্ত্রাসমুক্ত পার্বত্য অঞ্চল এখন সময়ের দাবি। এছাড়াও ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের আরও উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পরবর্তীতে বিজয় অর্জনকারীদের সাথে ফটোসেশন ও মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।