parbattanews

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যাওয়া ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী

চকরিয়া প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের কুতুবদিয়া-মহেশখালী-চকরিয়া চ্যানেলে ঘূর্ণিঝড় নাডার আঘাতে ডুবে যায় ২৯ জন মাঝিমাল্লাসহ এফবি রোহান নামে একটি ফিশিং বোট (বিহিঙ্গী জালের ফিশিং বোট)।

গত ৩দিন ধরে সাগরে ভাসমান থাকার পর চট্টগ্রামে নৌবাহিনী ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। একইভাবে মহেশখালী উপজেলার জন্নাতুল মাওয়া নামে একটি ফিশিং বোট নিয়ে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় ভাসমান থেকে আরো ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া মাঝিমাল্লারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চট্টগ্রামস্থ কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সদস্য চকরিয়ার মো: সেলিম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চলতি সনে সরকারের নির্দেশনায় ২২দিন ধরে সাগর থেকে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকার পর গত ৩নভেম্বর সাগরে মাছ ধরতে যায় মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের আবদুল করিমের মালিকানাধীন এফবি রোহান নামে ৭৪ঘোড়া’র একটি ফিশিং বোট। ওই ফিশিং বোটে একই এলাকার ২৯জন মাঝি-মাল্লা রয়েছে। গত ৬নভেম্বর ঘুর্ণিঝড় নাড়া’র সৃষ্টি হলে বাতাশের তীব্রতায় ওই ফিশিংবোট বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লা নিয়ে ডুবে যায়।

চকরিয়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদক্ষেপ নেবেন। জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। সাগরে আইডি কার্ডধারী কোন জেলে মারা গেলে তাদের প্রতি পরিবারের জন্য আবেদন সাপেক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন।

Exit mobile version