বন্দুকযুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর একরাম এর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও রাঘব বোয়ালদের ধরার দাবিতে কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলন
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
টেকনাফে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে পৌর কাউন্সিলর একরাম এর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার(৩১মে) কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একরামুলের স্ত্রী আয়েশা খাতুন জানান, ডিজিএফআই এর কিছু লোক জমি সংক্রান্ত বিষয়ের কথা বলে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। একরামুল হক ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট ছিলেন না বলে দাবি আয়েশা খাতুন বলেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ভাই ও মেয়েরা।
গেল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে নোয়াখালিপাড়ায় র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক। তিনি টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীপাড়ার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে এবং একই ওয়ার্ডের পর পর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর। টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও টেকনাফ বাস স্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং টেকনাফ হাইয়েছ মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাবেক আহ্বায়ক
ছিলেন।
উল্লেখ্য ইতোমধ্যে একরাম নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে স্থানীয়ভাবে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জনগণ বলছেন, নিরীহ একরামকে ভুল তথ্য দিয়ে খুন করিয়ে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা রাঘব বোয়ালদের ক্রসফায়ারের আওতায় আনার দাবি জানান।