ঘুমধুম, তুমব্রু সহ নাইক্ষ্যংছড়ির ক্ষতিগ্রস্থ সব রাস্তা-ঘাট দ্রুত মেরামত করা হবে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সম্প্রতি সীমান্তের তুমব্রু গ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসের ৬ শত ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় যেসব ধানি জমির ক্ষতি হয়েছে এ সব এলাকায় সেচ পাম্প, ধান মাড়ানী, স্প্রে মেশিন সব দেয়া হবে। পাহাড়ে হবে কপি ও কাজি বাদাম। এক ইঞ্চি জায়গাও বাদ থাকবে না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর।
তিনি আরও বলেন, পাবর্ত্য নাইক্ষ্যংছড়িতে সর্বপ্রথম ঘুমধুমেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয় বিগত দিনে। এখন দূর্গম দৌছড়িতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। আর যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ যেতে সময় লাগবে সে সব এলাকায় অতিদ্রুত ৪০ হাজার সোলার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে। করোনা সংক্রমনের ভয়াবহতা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সবাইকে করোনার টিকা দিতে হবে। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় সরকারী-বেসরকারী কর্সকর্তা, রাজনৈতিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা উপস্থিত ছিলেন। এ ত্রাণ কাজে ত্রাণ সহায়তা করেন, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়, রেডিয়েন্ট ওয়াইন্ড ফার্ম, ব্যবসায়ী হেলাল, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল কুদ্দুস, নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাস, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ক্যানওয়ান চাক, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম সালমা ফেরদৌস, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মংলা মার্মা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি, হাবিবউল্লাহ, এনিং মারমা প্রমুখ।
