parbattanews

বর্ষ বিদায় ও বরণ ঘিরে কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা মেতে ছিল আনন্দ-উচ্ছ্বাসে

dsc_0617-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ ঘিরে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবের পরিবেশ। সূর্যাস্তকালে তারা চিৎকার করে বিদায় জানায় ২০১৬ সালকে। বিচ কার্নিভালে অংশ গ্রহণসহ নানা উৎসবের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানায় নতুন বছর ২০১৭ সালকে। আগত এসব পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানে প্রশানের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইংরেজি বর্ষবরণে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে এসেছে ৪ লাখেরও বেশি পর্যটক। তারা ২০১৬ সালের শেষ সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে শনিবার সন্ধ্যায় সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী ও সী-ইন অবস্থান করে। এসময় তারা মেতে উঠে নতুন বছরকে বরণ করার উৎসবে।

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যার পর থেকে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরণের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও টানা তিন দিনের বিচ কার্নিভালসহ নানা আয়োজন ছিল নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। সবার প্রত্যাশা সকল দুঃখ গ্লানি বেদনা ধুয়ে-মুছে শুভ হোক নতুন বছর ২০১৭। নতুন বছর বরণকে ঘিরে সবায় মেতে ছিল আনন্দ-উচ্ছ্বাসে।

থার্টিফার্স্ট নাইট উৎযাপন করতে আসা পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে বিচ কার্নিভাল। যেখানে নামকরা শিল্পিরা আনন্দে মাতিয়ে রাখছে সমুদ্রের পার। এমনটাই বলছে, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক পারভেজ আহমেদ চৌধুরী।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এবার বছরের শেষ দিনটিতে পর্যটকদের আগমন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটকে ভরে গেছে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টগুলোতে। আগত পর্যটকদের দেওয়া হচ্ছে সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্ত।

Exit mobile version