parbattanews

বাঁকখালী রেঞ্জের ঘিলাতলী বন বিটে সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

P-Hamid-15(1)
নিজস্ব প্রতিনিধি :
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন রামু উপজেলার বাঁকখালী রেঞ্জের ঘিলাতলী বন বিটে সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্ধে গুরতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গর্জনীয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার বাসিন্দারা বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় সাংসদ রামু কক্সবাজার আসন বরাবরে লিখিত অভিযোগ সহকারে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ঘিলাতলী বন বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম যাচাই বাছাই না করে এলাকার প্রভাবশালীদের নিকট মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দের নিয়ম অনুযায়ী এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী, স্থানীয় বাসিন্দা, বন বিভাগের সহযোগিতাকারীরা প্লট বরাদ্দের নিয়ম থাকলেও তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।

অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, অভিযোগকারীরা দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ উক্ত ভূমিতে বসবাস করে আসছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে পেঠান আলী, ফরিদ আলম, নুর আয়েশা, শামশুল আলম, আব্দুল গফুর, আলী হোছাইন, আলী আহমদসহ অনেকেই জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী আজিজ মৌলা তার পিতা, ভাই, খালা, খালু, মামা, ফুফাসহ নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের নামে এই প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কথা শুনা যাচ্ছে। তাছাড়া উক্ত প্রভাবশালীরা তাদের দীর্ঘদিনের বসত ভিটা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।

তবে আজিজ মৌলা বিষয়টি মুঠো ফোনে অস্বীকার করে বলেন, যারা প্লট বরাদ্দ পেয়েছে তারা নেহায়েত গরীব লোক। শুধু মাত্র কমিটি গঠনের জন্য তিনিও একটি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন।

ঘিলাতলী বন বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম মুঠো ফোনে বলেন, তিনি প্রথমে স্থানীয়দের সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দ নেওয়ার জন্য তাগিদ দিলেও কোন ধরনের সাড়া না পেয়ে অন্যদের মাঝে বরাদ্দ দিতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিট কর্মকর্তা অতি গোপনে কাউকে না জানিয়ে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এলাকাবাসী সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version