বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণ

MastercardWorldwide logo
কর্পোরেট ডেস্ক: 

মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ডওয়াইড আজ বাংলাদেশে কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং ব্যবসায় উন্নয়নের পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নাম ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসায়িক প্রতিশ্রুতি পূরণ ও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি স্থানীয় প্রতিনিধি অফিস স্থাপনের লক্ষ্যে মাস্টারকার্ড বছরের এই মাঝামাঝি সময়ে এসে তাঁদের নিয়োগ দিয়েছে।
    
এদেশে বিগত কয়েক বছর ধরে দ্রুত উন্নয়ন ও শিল্পায়নের একটি ভালো প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে এবং এর ওপর ভবিষ্যতেও আরো প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য এদেশের উন্নয়ন-প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনায় অধিকতর ইলেক্ট্রনিক ব্যাংকিং ও পেমেন্ট বা অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা অপরিহার্য। সে আলোকেই মাস্টারকার্ড এখানে তার উপস্থিতি জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

১৬০ মিলিয়ন বা ১৬ কোটি মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ১, যেটি বিগত এক দশক ধরে বছরে প্রায় ৬% হারে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে২। এছাড়াও বাংলাদেশ উন্নয়ন সম্ভাবনার দিক থেকে নেক্সট ইলেভেন এমার্জিং ইকনোমি বা পরবর্তী ১১টি উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং চলতি ২১ শতকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর অন্যতম একটিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছে।

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এর কর্মস্থল হবে ঢাকা। তিনি মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ডওয়াইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান বিকাশ ভার্মার কাছে রিপোর্ট করবেন। তিনি বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের ব্যবসায়িক কৌশল বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবেন এবং অংশীদার আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেণ্ট বা ব্যবসায়ী ও নিয়ন্ত্রকসংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন।

বর্তমানে মাইক্রো ফিন্যান্স সলিউশন্স বা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সুবাদে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ আর্থিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত, আর মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ পরিপূর্ণ ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় রয়েছে। এর মানে হলো, এদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশই এখনো পূর্ণ ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই এথন মোবাইল ফোন ব্যাংকিংয়ে বা এম-কমার্সে জড়িত হচ্ছেন। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হচ্ছে যুব সম্প্রদায়, যাঁদের বয়স ২৩ বছরের মধ্যে।

মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ডওয়াইড, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ভিকি বিন্দ্রা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সামনে প্রবৃদ্ধি অর্জনের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। মাস্টারকার্ড সবসময়ই বিশ্বাস করে যে ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেজন্য আমাদের অংশীদার প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার মাধ্যমে এদেশের ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছি। তাই আমরা বাজারের প্রতি আমাদের গভীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি মার্কেটিং টিম বা বিপণন দলও নিয়োগ করেছি।’’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন