parbattanews

‘বাংলাদেশে মেগা শরণার্থী শিবির গড়ার পরিকল্পনা বিপজ্জনক’


জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন মিয়ানমারের আট লাখ শরণার্থীর জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় যে শরণার্থী শিবির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে তা বিপজ্জনক। কারণ, অত্যন্ত ঘনবসতির কারণে সেখানে প্রাণঘাতি রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।

প্রতিবেশী মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে’র মুখে গত ২৫ আগস্ট থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। ফলে দেশটির ওপর শরণার্থীদের প্রচ- চাপ তৈরি হয়েছে। মরিয়া হয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ সীমান্ত জেলা কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে বর্তমান শরণার্থী শিবির সম্প্রসারণ করে নতুন শরণার্থীদের স্থান করে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়।

কিন্তু ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ববার্ট ওয়াটকিনস এএফপিকে বলেন, এর পরিবর্তে দেশটির উচিত শরণার্থী শিবির স্থাপনের জন্য নতুন স্থান বেছে নেয়া।

তিনি বলেন, ছোট একটি জায়গায় অধিক সংখ্যক মানুষ, বিশেষ করে যাদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেখানে ছোঁয়াচে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে, দ্রুত এই রোগ ছড়িয়ে পড়বে।
একটি মাত্র শিবিরে সবাইকে না রেখে বিভিন্ন স্থানে একাধিক শিবিরে শরণার্থীদের রাখা হলে তাদেরকে সামাল দেয়া, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলা সহজ হবে বলে ওই কর্মকর্তা মনে করেন।

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং নতুন শিবিরে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করছে।

আইওএম’র মতো বর্তমানে উগান্ডার বিবি বিডি ও কেনিয়ার দাদাব-এ বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরগুলো রয়েছে। এর প্রত্যেকটিতে তিন লাখ করে শরণার্থীর বাস। বাংলাদেশে আট লাখের বেশি শরণার্থীর জন্য শিবির নির্মাণ করা হলে তা আগেরগুলোকে অনেক পেছনে ফেলবে।

Exit mobile version