বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ, জিততে মরিয়া বাংলাদেশ

fec-image

পুরো ইনিংসে একটিই ছক্কা। তা-ও আবার সেটি মেরেছেন কে? টেলএন্ডার শরিফুল ইসলাম। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে এই পেসারও জানান দিয়েছেন বড় শট খেলার সামর্থ্য। যদিও সেদিন দলের টপ এবং মিডল অর্ডারের কারো ব্যাটে সেই সামর্থ্যের প্রকাশ দেখা যায়নি।

একের পর এক উইকেট হারানোর মতো পরিস্থিতির চাপে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে তাঁদের একেকজনের গুটিয়ে থাকা নিয়ে অতৃপ্তির সুরও শোনা গেছে সশব্দেই। আজ চেমসফোর্ডের ক্লাউড এফএম গ্রাউন্ডে আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সেই অপ্রাপ্তি হাওয়ায় মিলিয়ে দিতেও কম মরিয়া নয় বাংলাদেশ দল।

কতটা মরিয়া? সেটি তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট থেকেই সবচেয়ে ভালো বোঝা যাওয়ার কথা, ‘প্রথম ওয়ানডে ওয়াশআউটের পর আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর টাইগাররা।’ খুব স্বাভাবিক যে জেতার জন্য সাকিবের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের তেতে থাকার ব্যাপারটি দারুণভাবে সংক্রমিত হয়েছে শরিফুলের মতো জুনিয়রদের মধ্যেও।

দ্বিতীয় ওয়ানডে সামনে রেখে গতকাল চেমসফোর্ডে এই বাঁহাতি পেসার সংবাদমাধ্যমকে শোনাচ্ছিলেন যেকোনো মূল্যে জিততে চাওয়ার তাড়নার কথাই, ‘অবশ্যই আমরা জেতার জন্য নামব। অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা সেভাবেই খেলতে চাই, যেভাবে খেললে জয় ছিনিয়ে আনা যায়।’

অবশ্য ইংল্যান্ডের আবহাওয়া অনিশ্চিত চরিত্রের বলে বৃষ্টি আইনের (ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন মেথড বা ডিএলএস পদ্ধতি) কথাও মাথায় রাখতে হয়। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৬ উইকেটে তোলা ২৪৬ রান তাড়ায় নামা আইরিশ ইনিংসের ১৬.৩ ওভারেই বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়া খেলা আর শুরুই হতে পারেনি। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচেও যে প্রকৃতি বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, সে কথা আগাম বলা যায় না।

কাজেই আজ জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পুরো ম্যাচ হওয়ার প্রার্থনাও নিশ্চয়ই করবেন তামিম ইকবালরা। একই সঙ্গে শরিফুলের মতো টেলএন্ডার চান, ব্যাট হাতে দলের সংগ্রহে অবদান রাখতেও, ‘আসলে সব দেশেই টেলএন্ডাররা এখন ভালো ব্যাটিং করছে। চেষ্টা করছি আমরাও। তাসকিন (আহমেদ) ভাইকে দেখে দেখে আমরা প্রতিদিন নেটে অনুশীলন করছি। একটু হলেও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। আমরা ১০-১৫ রান করলেও সেটি দলের জন্য সহায়ক হবে।’

প্রথম ওয়ানডেতে তাইজুল ইসলাম (১৪) ও শরিফুলরা (১৬) অল্প বিস্তর রান করে দলকে আড়াই শর কাছাকাছি নিয়ে যান; কিন্তু ম্যাচ জিততে রানের চাহিদাপত্র ধরিয়ে দেওয়া থাকে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের হাতেই। টেলএন্ডাররা শেষের দিকে না হয় কিছু রান করে দিলেন; কিন্তু দলকে জেতানোর জন্য তো আসল কাজটি করতে হবে স্বীকৃতি ব্যাটারদেরই।

প্রথম ওয়ানডেতে তাঁদের অনেকে ভালো শুরু পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তা নিয়ে অপরাধবোধে ভুগতে থাকা ব্যাটারদের পুষিয়ে দেওয়ার সুযোগই নিয়ে আসছে আজকের দ্বিতীয় ওয়ানডেঅ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আয়ারল্যান্ড, ওয়ানডে, বাংলাদেশ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন