parbattanews

বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানের নিকট প্রথমবারের মত দুটি সাবমেরিন হস্তান্তর করলো চীন সরকার

final-news-pic

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চীন হতে সংগ্রহকৃত দুটি সাবমেরিন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক নৌ শক্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সোমবার (১৪-১১-২০১৬) এ উপলক্ষে চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপইয়ার্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চীন সরকারের পক্ষ হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি এর নিকট সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করেন রিয়ার এডমিরাল লিউ জিঝু।

এ সময় চীনা এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আন্তঃবাহিনী  জনসংযোগ বিভাগের প্রেরিত সংবাদে এখবর দেয়া হয়েছে।

সাবমেরিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, চীন হতে দুটি সাবমেরিন সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসাবে যাত্রা শুরু করলো। তিনি এই সাবমেরিন দুটির নতুন ভাবে সজ্জিত করণ এবং ক্রুদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য চীনা নৌবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নৌবাহিনীকে আধুনিক, ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ইতিমধ্যে ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্রসীমা অর্জিত হয়েছে। এই বিশাল সমুদ্র এলাকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, এই সম্পদের হেফাজত এবং বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের সমুদ্রে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করা অপরিহার্য।

এ লক্ষে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে নতুন নতুন যুদ্ধজাহাজ সংযোজন এবং পুরানো যুদ্ধজাহাজকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যার ফলে নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। নৌবাহিনীর উন্নয়নে এসকল যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নৌপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য প্রস্তুতকৃত এই কনভেনশনাল সাবমেরিন দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন যার প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭.৬ মিটার। সাবমেরিনসমূহ টর্পেডো ও মাইন দ্বারা সু-সজ্জিত যা শত্রু পক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে আক্রমণ করতে সক্ষম।

সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যে দুইদেশের নৌবাহিনীর অফিসার ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে বা প্রশিক্ষণ ও সী ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ০৩৫ জি ক্লাসের সাবমেরিন দুটি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে এবং আগামী বছরের শুরুতে বানৌজা ‘নবযাত্রা’ এবং বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ নামে নৌ বহরে যুক্ত হবে বলে আশা করা যায়।

Exit mobile version