parbattanews

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা ‘মাইন’ অপসারণে যৌথ সমীক্ষা দল কাজ করবে

Cox BGB-NASAKA flag meeting

কক্সবাজারে বিজিবি-নাসাকা সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক শেষে ব্রিফিং

আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকার ‘নোম্যান্স ল্যান্ড’ এলাকার পুঁতে রাখা বিভিন্ন ধরণের মাইনসহ বিস্ফোরক দ্রব্য অপসারণে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের যৌথ সমীক্ষাদল কাজ করবে। এব্যাপারে খুব শীঘ্রই দু’দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জরিপ চালাবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বিজিবি রেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত বিজিবি-নাসাকার সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী ‘নোম্যান্স ল্যান্ড’ এ বিভিন্ন ধরণের মাইনসহ বিস্ফোরক দ্রব্য পুঁতে রাখা এবং এসব ‘মাইন’ বিস্ফোরণের বাংলাদেশিদের আহত হওয়ার বিষয়ে মায়ানমারের নাসাকা বাহিনীর প্রতিনিধি দলকে জানানো হলে তারা ‘মাইন’ পুঁতে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

পরে দু’দেশের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে যৌথ সমীক্ষা চালানো বিষয়ে একমত হন। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, এখন থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, ইয়াবা বা মাদক জাতীয় পাচার প্রতিরোধ সহ যে কোন বিষয়ে বিজিবি-নাসাকার সরাসরি যোগাযোগ করবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং মিয়ানমারের মংডু নাসাকা সেক্টরের ডিরেক্টর অং নেইং ও।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বিজিবি নব গঠিত কক্সবাজার সেক্টর গত ১ জুলাই হতে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। এর আগে পতাকা দুপুর ১২ টায় পতাকা বৈঠক শুরু হয়ে বিকেল ৩টায় শেষ হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের ১৪ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, নব গঠিত বিজিবি’র কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নজরুল ইসলাম। অপরদিকে মিয়ানমারের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, নাসাকার মংডু জোনের পরিচালক কর্নেল ইউ অং মেং উং।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দল সকাল ৭টায় নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কক্সবাজার চলে আসে। এখানে তাদের গার্ড অব অনার দেয়ার পর বিজিবি’র কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নজরুল ইসলাম তাদের স্বাগত জানান।

Exit mobile version