বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠাতে চায়

fec-image

বাংলাদেশ অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি রাখাইন রাজ্যে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে  বলেন।

শুক্রবার জাপানে কিওডো বার্তা সংস্থার সঙ্গে ওই সাক্ষাতকারে মোমেন বলেন, করোনাভাইরাস ও নির্বাচনের অযুহাত দেখিয়ে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া বিলম্বিত করছে।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেপ্টেম্বরের পর যেকোন সময় এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশা করছেন।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী শুদ্ধি অভিযান চালালে সেখান থেকে সাড়ে সাত লাখের বেশি জাতিগত সংখ্যলঘু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এর আগেও অনেক রোহিঙ্গা পালিয়ে আসায় বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে।

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের তার নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। এদেরকে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিয়ানমারে কাছে ছয় লাখ রোহিঙ্গার নামের তালিকা পাঠিয়েছে যারা শুদ্ধি অভিযানের সময় পালিয়ে আসে। জবাবে মিয়ানমার মাত্র ৩০,০০০ নাম অনুমোদন করেছে।

মোমেন বলেন, রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির লড়াই চলতে থাকায় সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ নেই।

এক লাখ রোহিঙ্গাকে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ ভাসান চরে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ এরই মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব, চলাচলের অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাচ্ছে। নাগরিকত্ব ইস্যুটি কেবল মিয়ানমার সরকারই সমাধান করতে পারে বলে মোমেন মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মিয়ানমার, রাখাইন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন